• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯
দেশে তামাকসেবী ৩ কোটি ৭৮ লাখ

প্রতীকী ছবি

জাতীয়

দেশে তামাকসেবী ৩ কোটি ৭৮ লাখ

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ১৩ মে ২০১৯

তামাকপণ্য সেবনে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক ও ফুসফুসে ক্যানসার হতে পারে বলে মনে করে দেশের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ মানুষ। গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট বিজ্ঞাপন দেখে থাকে জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক। এর পরও দেশের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক সেবন করে থাকেন। পুরুষদের ৪৬ শতাংশই সিগারেট, বিড়ি, জর্দ্দা বা অন্য কোনো তামাকজাত প্যণ সেবন করছেন। নারীদের ক্ষেত্রে এ হার ২৫ দশমিক ২০ শতাংশ। এ খাতে বছরে ব্যয় হচ্ছে ১৭ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। বছরে তামাকের চাহিদা বাড়ছে প্রায় ১৪ শতাংশ হারে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে শীর্ষক জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৩ কোটি ৭৮ লাখ মানুষ তামাকসেবী। জরিপের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ১৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপানের নেশায় আসক্ত। সংখ্যার বিচারে প্রাপ্তবয়স্ক ধুমপায়ী ১ কোটি ৯২ লাখ। পুরুষদের ৩৬ শতাংশ ও নারীদের দশমিক ৮ শতাংশ ধূমপানে আসক্ত। এর মধ্যে দেড় কোটি প্রাপ্তবয়স্ক সিগারেট সেবন করে থাকেন। অবশিষ্ট ৫৩ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক বিড়ির নেশায় আসক্ত।

ধোঁয়াযুক্ত তামাক তথা ধূমপানে পুরুষরা এগিয়ে থাকলেও ধোঁয়াবিহীন তামাকে দেশের নারীরাই এগিয়ে আছে বলে প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, দেশের ২০ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক ব্যবহার করে থাকেন। সংখ্যার বিচারে অধূমপায়ী তামাকগ্রহীতা ২ কোটি ২০ লাখ। পুরুষদের ১৬ দশমিক ২০ শতাংশ ও নারীদের ২৪ দশমিক ৮০ শতাংশই ধোঁয়াবিহীন তামাকসেবী।

এ বিষয়ে জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোল্লা ওবায়দুর্লাহ বাকী বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ক্যানসার রোগের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম তামাক সেবন। এ ছাড়াও তামাকের কারণে বেশ কিছু জটিল রোগের সৃষ্টি হতে পারে। ধূমপান প্রতিরোধে সচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ আরো জোরদার করতে হবে। এছাড়া এ-সংক্রান্ত বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে প্রয়োগেরও পরামর্শ দিয়েছেন এ ক্যানসার বিশেষজ্ঞ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads