• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
‘পুলিশের মনোবল ভাঙতেই মালিবাগ হামলা’

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

‘পুলিশের মনোবল ভাঙতেই মালিবাগ হামলা’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৯

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, টার্গেট করেই মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। পুলিশকে ভয় দেখিয়ে মনোবল ভেঙে দেওয়া এবং নাগরিকদের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করাই ছিল উদ্দেশ্য। গতকাল বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কমিশনার বলেন, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে এখনো বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এই ঘটনার ২০-২২ দিন আগে গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা হয়েছিল। দুটি বিষয়ই তদন্ত করছে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। অচিরেই হামলার উদ্দেশ্য, কারা, কেন এবং কাদের টার্গেট করে করা হয়েছে তা বের হয়ে আসবে। গুলিস্তান ও মালিবাগ-দুটি ঘটনাতেই যেহেতু পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে; তবে এই দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো যোগসূত্র রয়েছে কি না তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সভায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। বাসগুলো যাতে নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে এবং প্রবেশ করতে পারে সেজন্য টার্মিনালের মুখগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। প্যাসেঞ্জার লোড-আপলোড হবে টার্মিনালের ভেতরে। কোনো অবস্থায়ই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে না। টার্মিনালের সীমানাচিহ্ন নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ ওই চিহ্নের বাইরে এসে যাত্রী ওঠালে বা নামালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ-বাস মালিকদের অংশগ্রহণে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা বাস ছাড়ার আগেই চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করবেন। কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি যাতে রাস্তায় নামতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমেছে। এবার সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনাকে  শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই। হকার বেশে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা যাত্রীদের কাছে এসে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবকিছু লুট করে নেবে তা হতে পারে না। বাস-মালিক সমিতি ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সুনির্দিষ্ট হকারের তালিকা করুন।

ঈদ উপলক্ষে নগরজুড়ে সমন্বিত-সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, নানাবিধ কলাকৌশলের মধ্য দিয়ে আমরা নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। শপিংমলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। নগরজুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী মোতায়েন রয়েছে। বাড়ানো হয়েছে মোবাইল পেট্রল ও চেকপোস্ট। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads