• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সহায়তাবিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রযুক্তির মাধ্যমে তাৎক্ষণিক সহায়তাবিষয়ক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ৩০ মে ২০১৯

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নারী ও মেয়েশিশুর প্রতি সহিংসতা মোকাবেলায় তাৎক্ষণিক সাড়া ও সহায়তা প্রদান বিষয়ক এক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে গত মঙ্গলবার (২৮ মে)। সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমকেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়ন শেষে ঢাকাস্থ অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ডিপার্টমেন্ট অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড ট্রেডের সহযোগিতায় রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক ইন সেন্টারে এ সভার আয়োজন করে এসিড সারভাইভার্স ফাউন্ডেশন।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কেএম আব্দুস সালাম। , বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলীয় হাইকমিশনার জুলিয়া নিবলেট, সরকারের অতিরিক্ত সচিব (আইসিটি উইং) ও ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির আইসিটি ডিভিশনের মহাপরিচালক মো. রাশেদুল ইসলাম, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাল্টি সেক্টরাল প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেন। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন এএসএফের ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য ইউএম হাবিবুন নেসা।

জুলিয়া নিবলেট বলেন, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পলিসিসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি এবং অস্ট্রেলিয়ান হাই কমিশন এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনকে এই প্রকল্পের জন্য সহায়তা করতে পেরে খুশি। তিনি আশা করেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ এই প্রকল্প থেকে শিক্ষণীয় বিষয়সমূহ গ্রহণ করবেন। প্রধান অতিথি কেএম আব্দুস সালাম তার বক্তব্যে ই-এনজিও সম্পর্কে ধারণা প্রদান করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রায় ৯০% লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তিনি বিশ্বাস করেন তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবা পেতে সক্ষম। তিনি জুলিয়া নিবলেটকে বাংলাদেশের মানবিক খাতে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের সহায়তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশনের কর্মসূচি ব্যবস্থাপক আফরিনা বিনতে আশরাফ। প্রকল্পের অগ্রগতি, শিখন, প্রতিবন্ধকতা ও সামনে এগিয়ে যাওয়ার ওপর উপস্থাপনা ও মুক্ত আলোচনা সঞ্চালনা করেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সেলিনা আহমেদ। বগুড়া ও নরসিংসদী জেলা থেকে আসা সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, প্রকল্প কাজে নিয়োজিত স্বেচ্ছাসেবক, এসিড ও অন্যান্য সহিংসতার শিকার সারভাইভারস প্রতিনিধি এবং আমন্ত্রিত অতিথিরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
সভায় বক্তারা বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর একটি আধুনিক কমিউনিটি সুরক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি এসিড ও অন্যান্য সহিংসতা পূর্ব থেকে জানা, কার্যকরভাবে মোকাবেলা এবং সুরক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে বগুড়া এবং নরসিংদী জেলায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। দুই বছরব্যাপী প্রকল্পের মূল কার্যক্রম ছিল নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণে জেলা পর্যায়ে একটি সার্বক্ষণিক হেল্পডেস্ক, হেল্পলাইন চালু, জেলা পর্যায়ে নারী ও মেয়ে শিশুর প্রতি সহিংসতার ঘটনার ডাটা বেস প্রতিষ্ঠা, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ বিষয়ক সহায়তা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমুহের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানো, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে নারী ও মেয়ে শিশুদের কাছে ই-ক্লিনিকের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা প্রদান, আইনী পরামর্শ ও মনো সামাজিক সহায়তা প্রদান করা। ই-ডায়ালগের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধির সাথে সহিংসতার শিকার ব্যক্তির ডায়ালগ সেশন, ইউনিয়ন নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা, স্কুল-কলেজ ক্যাম্পেইন ও হাট-বাজার ক্যাম্পেইন কর্মসূচিসহ নানাবিধ কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়। এর ধারাবাহিকতায় প্রকল্পের সামগ্রিক কার্যক্রমের উপর অভিজ্ঞতা বিনিময় (অগ্রগতি, শিখন, প্রতিবন্ধকতা ও সামনে এগিয়ে যাওয়া) সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সরকারি, দাতা সংস্থা, জাতীয়, আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থার ব্যক্তিবর্গ, মাঠ পর্যায়ের প্রতিনিধবৃন্দ, প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসিড সারভাইভারস ফাউন্ডেশন (এএসএফ) ১৯৯৯ সাল থেকে এসিড সহিংসতার শিকার অসহায় মানুষদের চিকিৎসা, পরিচর্যা, সমাজে তাদের পুনর্ভুক্তি ও পুনর্বাসন এবং এসিড সহিংসতা নির্মূল করার লক্ষ্যে পরিচালিত একটি বাংলাদেশি সামাজিক সংগঠন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads