• মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪২৯
টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানববন্ধন

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভার দৃশ্য

ছবি : বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানববন্ধন

  • টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুন ২০১৯

মিয়ানমারে মুসলিমদের উপর হামলায় নিহতদের স্মরণ এবং অব্যাহত রোহিঙ্গা হত্যা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন এবং পথসভা করেছে টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টায় টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা বস্তিতে এমইএসে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জেনোসাইড বন্ধ এবং ৩ জুন স্মরণে মানব বন্ধন ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে বক্তব্য রাখেন মোঃ ইলিয়াছ আরকানী, মোঃ আলম মাঝি, নুর বশর, আমির হোসাইন, কবির আহমদ, মোঃ সাবের ও মোঃ রফিক প্রমুখ। এতে নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ভূখন্ডে মানবিক আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আইন-শৃংখলা বাহিনী ও স্থানীয় জনসাধারণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। উখিয়া-টেকনাফে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন,“সন্ত্রাসী ও আইন-শৃংখলা বিরোধী কর্মকান্ড পরিহার করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে বসবাস করুন। আমরা আর্ন্তজাতিক আদালতে ২০১২ সালের ৩ জুন তাবলীগ জামায়াতের ১০ সদস্যসহ রোহিঙ্গা জেনোসাইডের (গণহত্যা) সুবিচার কামনা করছি। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্থাপিত ৫দফা দাবী বাস্তবায়ন করা হলে তারা স্বেচ্ছায় স্বদেশে ফেরত যাব বলেও ঘোষণা দেন বক্তারা।

বিগত ২০১২ইং সালে ইয়াঙ্গুন হতে তাবলীগ জামায়াতের একটি দল টংগো এলাকায় গমনকালে ১০ জন তাবলীগ সদস্যদের খুনের মধ্যদিয়ে উগ্রপন্থী রাখাইন ও সেনা বাহিনীর কতিপয় সদস্য সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর হামলা শুরু করে। এরপর হতে দেশটিতে রাখাইন ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ কারণে বিভিন্ন স্থানে চোরাগুপ্তা হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পায়। এর জের ধরে ৮ জুন মংডু শহরে মুসলিম-রাখাইন দাঙ্গা বাধে। বেশ কয়েকজন হতাহত হয় এ দাঙ্গায়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে মিয়ানমার সেনা চৌকিতে হামলার জের ধরে সরকারী বাহিনীর নির্যাতনে এক লক্ষের কাছাকাছি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। পরে ২০১৭সালের ২৪ আগষ্ট দিবাগত রাতে ২৯ টি সীমান্ত চৌকিতে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলার সুত্রধরে মিয়ানমারের পুরো মুসলিম সম্প্রদায়ের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপর হামলা, খুন, গুম এবং বসত-বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়। যা বিশ্ব বিবেককে আলোড়িত করে। এতে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশু নৃশংসভাবে খুনের শিকার হয়। পুরো বিশ্বকে একটি বড় দূঘর্টনার হাত থেকে রক্ষা এবং আঞ্চলিক শান্তির কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমান্ত খুলে দিয়ে বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশ ভূখন্ডে মানবিক আশ্রয় দেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads