• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষোভ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে জেলেদের বিক্ষোভ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৯ জুন ২০১৯

সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার দাবিতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছলিমপুর বাংলাবাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে মৎস্যজীবী জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন।

আজ রোববার সকাল ১০টর দিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন ৪০টি জেলে পাড়ার প্রায় এক হাজার নারী-পুরুষ। অবরোধের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রায় ২ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। এতে চরম দুর্ভোগের মুখে পড়েন ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা হাজার হাজার মানুষ। খবর ইউএনবির।

পরে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে বেলা ১২টার দিকে জেলেরা অবরোধ তুলে নিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। তবে অবরোধের কারণে মহাসড়কে বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে পূর্ব ঘোষিত আল্টিমেটাম অনুযায়ী চট্টগ্রাম নগরী থেকে সীতাকুন্ড উপজেলা পর্যন্ত ৪০টি জেলে পল্লীর লোকজন সকালে রাস্তার একপাশে জড়ো হন। পরে পুলিশ এসে তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে সাড়ে ১০টার দিকে তারা রাস্তার দুপাশেই অবস্থান নেন।

আন্দোলনকারী উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন দাস বলেন, গত ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই ৬৫ দিন সমুদ্রে সব ধরনের মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। কিন্তু জেলে পেশার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চট্টগ্রামের প্রায় ৫০ হাজার পরিবারের জন্য বিকল্প কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি।

তিনি বলেন, আমরা মাছ ধরে দৈনিক যা আয় করি, তা দিয়েই সংসার চালাই। প্রায় আড়াই মাস মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে এতোগুলো পরিবার চলবে কীভাবে? আমরা সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়ে কোনো সাড়া না পেয়ে রাস্তায় অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছি।

‘আমাদের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না করলে এবং মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না করলে আরো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো’, বলেন জেলেদের এই নেতা।

এর আগে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে মৎস্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে জেলেরা মানববন্ধন এবং গত ১ জুন সাগরে মাছ ধরার সরকারি নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে উত্তর চট্টলা উপকূলীয় মৎস্যজীবী জলদাস সমবায় কল্যাণ ফেডারেশন এক সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাস আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, ৭ দিনের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান না হলে ৯ জুন থেকে মহাসড়ক অবরোধ করা হবে। তারই অংশ হিসেবে আজ রাস্তায় অবস্থান নিয়েছেন জেলেরা।

এ ব্যাপারে সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় বলেন, জেলেরা তাদের নিজস্ব কিছু দাবিতে ঘণ্টাখানেকের মতো সড়ক অবরোধ করেছিল। আমরা তাদের বুঝিয়ে এবং দাবি দাওয়ার বিষয়ে আজকেই ডিসি স্যারের সাথে বৈঠকের ব্যবস্থার করে অবরোধ তুলে দিয়েছি। এখন যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads