ঈদের ছুটি শেষে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কর্মস্থলমুখী মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। এ সকল যাত্রীদের বয়ে আনা গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় রোববার দুপুর থেকে নদীপারের অপেক্ষায় আটকা পড়ে বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারসহ শত শত বিভিন্ন গাড়ি।
বিকেল ৫টা পর্যন্ত ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের দৌলতদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে সৃষ্টি হয় গাড়ির দীর্ঘলাইন।
দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ার এ নৌরুটে যানবাহনের পাশাপশি অসংখ্য যাত্রী লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিযোগেও নদী পারাপার হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে ফেরিতে স্থান সঙ্কালুন না হওয়ায় যানবাহন পারাপার কিছুটা হলেও কমে গেছে। ঝুঁকি নিয়ে অনেক যাত্রী ট্রলার ও স্পীড বোটে নদী পার হচ্ছেন।
দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে দেখা যায়, নদী পার হতে আসা যানবাহন কিছু সময় অপেক্ষা করে ফেরির নাগাল পেয়ে যাচ্ছে। রুটের ফেরিগুলোতে যানবাহনের পাশাপাশি অসংখ্য যাত্রী ও ছোট গাড়ি পার হতে দেখা যায়। পর্যাপ্ত লঞ্চ না থাকায় ফেরির উপর সাধারণ যাত্রীদের এ চাপ পড়ে। এ নৌ-রুটে রোববার বিকেল পর্যন্ত ১৯টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।
এদিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের ঢল নামে। লঞ্চঘাটের ওভারব্রীজ ও পন্টুনে পা ফেলার জায়গাও ছিল না। দুপুরের পর থেকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঘাট এলাকায় গাড়ির সারি সৃষ্টি হতে দেখা যায়। সময় বাড়ার সঙ্গে গাড়ির লাইন ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি তৈরী হয়। এর মধ্যে বেশিরভাগ ছিল যাত্রীবাহী বাস ও অন্যান্য জরুরি গাড়ি। এছাড়া রোববার থেকে পন্যবাহী গাড়ি আসতে শুরু করায় এসব গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। অপরদিকে বিকল্প সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে প্রায় সার্বক্ষণিক নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে থাকছে ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। দূর্ভোগ কমিয়ে এ ছোট যানবাহনগুলোকে দ্রুত পার করার জন্য ৫ ও ৬ নং ফেরিঘাটকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
অপরদিকে দীর্ঘ সিরিয়ালে শত শত যানবাহন আটকে থেকে যাত্রীদের ভোগান্তি হলেও বিলাসবহুল এসি বাসগুলোকে সিরিয়ালের তোয়াক্কা না করে ডান পাশ দিয়ে দ্রুত ফেরিতে উঠার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে সিরিয়ালে আটকে থাকা সাধারণ যাত্রী ও চালকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ সৃষ্টি হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক সফিকুল ইসলাম জানান, নৌরুটের ২০টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১৯টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। ঈদের কারণে যানবাহনের সংখ্যা দ্বিগুণের বেশী হয়েছে। ৬ দিন ট্রাক পারাপার বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে। যে কারণে যানবাহনগুলো লম্বা সিরিয়ালে আটকা পড়ছে। তবে ফেরি বেশী থাকায় খুব বেশী সময় সিরিয়ালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে না।