• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মূসক আইন কার্যকর ১ জুলাই থেকে

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

মূসক আইন কার্যকর ১ জুলাই থেকে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৫ জুন ২০১৯

আগামী অর্থবছরের শুরু থেকেই কার্যকর হচ্ছে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২। গতকাল জাতীয় সংসদে এ ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। কয়েক বছর ধরে এক স্তরে মূসক নির্ধারণের কথা থাকলেও নতুন আইনে মোট ছয় স্তরে ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত রয়েছে।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘গত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে আইনটি কার্যকর করার যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা ব্যবসায়ীদের অনুরোধে দুই বছর স্থগিত রাখা হয়। এ আইনটি এ বছর বাস্তবায়ন করা হবে। ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঐকমত্য হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী নতুন আইনটি সহজ, প্রাঞ্জল ও অধিকতর ব্যবসাবান্ধব করার জন্য মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর কতিপয় সংশোধন, পরিমার্জন, পরিবর্তন ও সংযোজনের প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, ২০১৯-২০ এর বাজেটে জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে তেমন কোনো উপকরণ অন্তর্ভুক্ত করিনি।

একক ভ্যাট হারের পরিবর্তে পণ্য বা সেবা আমদানি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ, উৎপাদনে ১০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ৭.৫ শতাংশ এবং খুচরায় ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। পণ্যের সংবেদনশীলতা বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থা হিসেবে ওষুধ ও পেট্রোলিয়ামজাত পণ্যের ক্ষেত্রে বর্তমানের মতো স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে ভ্যাট হার যথাক্রমে ২.৪ শতাংশ এবং ২ শতাংশ অব্যাহত রাখার প্রস্তাব রয়েছে। 

স্থানীয় পর্যায়ে করভার কমানোর জন্য মূসক হার ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে বলে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদে জানিয়েছেন। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নতুন ভ্যাট আইনের আওতায় টার্নওভার তালিকাভুক্তির সীমা ৩০ লাখ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করেন তিনি। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহ প্রদানে টার্নওভার করের সীমা ৫০ লাখ হতে বৃদ্ধি করে তিন কোটি টাকায় উন্নীত করার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ৫০ লাখের ওপর থেকে তিন কোটি টাকা বিক্রিসম্পন্ন ব্যবসায়ীকে মাত্র চার শতাংশ হারে টার্নওভার কর দিতে হবে। ভ্যাট নিবন্ধন সীমা ৫০ লাখ টাকা থেকে তিন কোটি টাকায় উন্নীতকরণের প্রস্তাব করা হয়েছে। ১৫ শতাংশ মূসক প্রযোজ্য যেসব ক্ষেত্রে সেখানে দাখিলপত্রের মাধ্যমে উপকরণ কর রেয়াত গ্রহণ করা যাবে।

এ ছাড়া নতুন আইনে পণ্য সরবরাহের আগে বিদ্যমান মূল্য ঘোষণা পদ্ধতি রহিত করে বিনিময় বা ন্যায্য বাজার মূল্যের ভিত্তিতে কর পরিশোধ ব্যবস্থা থাকবে। বর্তমানে পণ্য সরবরাহের আগে প্রযোজ্য কর ‘হিসাব চলতি’ নামক হিসাবে জমা রাখার বিধান রয়েছে; নতুন আইনে ‘হিসাব চলতি’ সংরক্ষণ করতে হবে না। ব্যবসায়ী মাস শেষে দাখিলপত্রের মাধ্যমে কর পরিশোধ করবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads