• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভবিষ্যতে আরো বাড়বে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভবিষ্যতে আরো বাড়বে: মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৯

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতার পরিমাণ নতুন অর্থ বছরে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো বাড়ানো হবে।

আজ শনিবার বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ ৭১ এর ৫ম জাতীয় কনভেনশনে প্রধান অতিথির উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন ।

এ সময় তিনি বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের অবদান অপরিসীম। স্বাধীনতা চেতনা বিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকাকালীন যখন জাতির পিতার আত্ম স্বীকৃত খুনিদের পুনর্বাসিত করেছে। স্বাধীনতা বিরোধীদের হাতে স্বাধীনতার লাল সবুজ পতাকা তুলে দিয়েছে। সদম্ভে ঘোষণা করেছে এখানে কোনো স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়নি, নেই কোনো স্বাধীনতা বিরোধী। সেই সময়ে সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনমত সৃষ্টিতে অপরিসীম ভূমিকা রেখেছে।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সাবেক সভাপতি একে খন্দকারের লিখিত বইয়ে ইতিহাস বিকৃতির ঘটনায় তার বিরোধিতাকে ফোরামের সাহসী পদক্ষেপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ওটা ছিলো ফরমায়েসি লেখা । এ ধরণের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ফোরাম ভবিষ্যতেও সাহসী ভূমিকা পালন করবে বলে মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি, আর তারই সুযোগ্য উত্তরাধিকার সফল রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার দেশকে উন্নত সমৃদ্ধরূপে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, একই নকশায় সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কবর তৈরি করা হবে । সকল বধ্যভূমি ও যুদ্ধের স্থানসমূহ সংরক্ষণের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতির পিতার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ এর ভাষণের স্থান, ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর মিত্র বাহিনীর দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার ঘোষণার স্থান এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থান সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে । প্রথম সরকারের শপথ গ্রহণের স্থান মুজিব নগরকে মুক্তিযুদ্ধের তীর্থস্থানে পরিণত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সভাপতি সাবেক সেনা কর্মকর্তা একেএম শফিউল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় কনভেনশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হারুন হাবীব, ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক সেনা কর্মকর্তা আবু ওসমান চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মমতাজ বেগম প্রমুখ।

এর পূর্বে বেলুন উড়িয়ে কনভেনশনের উদ্বোধন করা হয় এবং জাতীয় সংগীত ও দেশাত্মবোধক সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে কনভেনশনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় । বিভিন্ন বিভাগ ও জেলা থেকে প্রতিনিধিরা কনভেনশনে অংশ নেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads