• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জৈষ্ঠ ১৪২৯
রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে ৫ জনের মৃত্যু

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

রাজধানীতে ডেঙ্গু জ্বরে ৫ জনের মৃত্যু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০১৯

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। ঢাকা উত্তরে ৩ জন এবং দক্ষিণে ২ জন মারা গেছেন। শুধু ডেঙ্গু জ্বরই নয়, মশাবাহিত রোগব্যাধি এখন নাগরিক জীবনে জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি। এডিস ইজিপ্ট ও এডিস অ্যালবোপিকটাস নামের দুই প্রজাতির মশা ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো রোগ ছড়াচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নগরবাসীকে সচেতনতা বাড়ানোসহ লিফলেট বিতরণ, বাসাবাড়ির ছাদে, ফুলের টবে ডেঙ্গুবাহী মশার জন্ম হতে পারে এমন ধরনের স্থানে ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এসব মশার বংশবৃদ্ধি ও বিস্তার লাভের কারণেই ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়া জেনারেল মামুনুর রশিদ বলেন, ২ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ডেঙ্গুর কারণে ২ জন মারা গেছেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ১৪৫ জন। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইতোমধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ শেষে ২৭৯ জন বাড়ি ফিরেছে। তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এ বছর ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে আগে-পরে থেমে থেমে বৃষ্টির কারণে ডেঙ্গুসহ মশার উপদ্রব বেড়েছে। ডেঙ্গু জ্বর বিশেষজ্ঞদের মতে, জুন-জুলাই মাস ডেঙ্গুবাহী এডিস মশার প্রজনন মৌসুম। এ সময় থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকে। জমে থাকা নোংরা পানিতে এডিস মশার জন্ম হয়। বাড়ির আশপাশে যেন কোথাও পানি জমে না থাকে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে।

সূত্রমতে, ঢাকায় মশা নিধন এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। দেশের প্রায় সব শহরই মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার ঝুঁকিতে থাকলেও শুরু থেকে ঢাকাতেই এ রোগের প্রকোপ বেশি। এক জরিপে দেখা যায়, ২০০০-০৯ সাল পর্যন্ত দেশের মোট ডেঙ্গু রোগীর শতকরা ৯১ জনই ঢাকার। ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়ার মতো অপ্রচলিত রোগের আকস্মিক প্রাদুর্ভাব এবং মানুষের মৃত্যুর কারণে আতঙ্কজনক পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে মশক নিধন ও জনসচেতনতা সৃষ্টির ব্যাপক উদ্যোগের কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তার কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। গত বছর রাজধানীর ১৯টি এলাকাকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে এসব এলাকার বাসিন্দাদের জন্য শুধু বিশেষ সতর্কবাণী জারির মাধ্যমেই কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads