• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
গ্রামে এখনো ঋণের প্রধান উৎস এনজিও

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

গ্রামে এখনো ঋণের প্রধান উৎস এনজিও

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৯

গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও তা এখনো জনগণের কাছাকাছি পৌঁছুতে পারেনি। ফলে সেখানকার মানুষের ঋণের অন্যতম উৎস এখনো এনজিও। পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ মানুষ এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘কৃষি ও পল্লী পরিসংখ্যান রিপোর্ট-২০১৮’তে এমন তথ্যই উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, গ্রামে ব্যাংকগুলোর শাখা থাকলেও সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছুতে পারেনি। ফলে গ্রামে এনজিওগুলোর প্রাধান্য বিদ্যমান। অধিকাংশ মানুষই ফসল উৎপাদনের জন্য এনজিও থেকে ঋণ নিচ্ছে। পল্লী এলাকার ৬৩ দশমিক ২৮ শতাংশ লোক এনজিও থেকে, ২৬ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ ব্যাংক থেকে, মহাজনদের কাছ থেকে ৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং আত্মীয়স্বজনদের কাছ নিচ্ছে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ মানুষ ঋণ নিচ্ছে।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, পল্লী এলাকার মানুষদের ৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ ঋণ নেয় ফসল আবাদের জন্য। এছাড়া পশুপালনের জন্য ৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতের জন্য ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ, চিকিৎসার জন্য ৪ দশমিক ৯৪ শতাংশ, শিক্ষার জন্য ২ দশমিক ৪৭ শতাংশ, বিবাহের জন্য ৪ দশমিক ১১ শতাংশ এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ঋণ নেয় ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ মানুষ।

পল্লী এলাকার এক একটি পরিবার বার্ষিক আয় করে ২ লাখ ২ হাজার ৭২৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষিখাত থেকে আসে ৭৭ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং অকৃষিখাত থেকে আসে ১ লাখ ২৫ হাজার ২৬৭ টাকা। পল্লী এলাকায় মোট ১২ কোটি ৫ লাখ ৯৮ হাজার ৩৬৫ জন বসবাস করে। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ১৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮১২ জন, মহিলা ৫ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার ৮০৩ জন এবং হিজড়া ২২ হাজার ৭২০ জন।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ব্যুরোর অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কুমার দাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা আক্তার। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প পরিচালক আক্তার হোসেন খান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads