• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯
হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে নজর রাখুন

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ডিসিদের প্রতি স্বাস্থ্যমন্ত্রী

হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতিতে নজর রাখুন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ জুলাই ২০১৯

দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালে নিযুক্ত চিকিৎসকদের কর্মস্থলে নিয়মিত উপস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক।

গতকাল বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের চতুর্থ দিনের চতুর্থ অধিবেশনে এ নির্দেশ দেন তিনি। অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জেলা প্রশাসকদের এ অধিবেশন হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসাসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে। এটা ডিসিদের জানিয়েছি। জেলা-উপজেলা হাসপাতাল, মেডিকেল কলেজগুলোতে আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। এ বিষয়গুলোও তাদের কাছে তুলে ধরেছি। তিনি বলেন, আমরা ডিসিদের বলেছি, আপনারা নিয়মিত মিটিং করবেন। স্বাস্থ্যবিষয়ক যে প্রতিষ্ঠানগুলো রয়েছে— জেলা-উপজেলা হাসপাতাল সেখানে মিটিং করবেন। সেসব জায়গায় যাবেন, পরিদর্শন করবেন। সেসব হাসপাতালে চিকিৎসকদের উপস্থিতির দিকে লক্ষ রাখবেন। রোগীরা যাতে ভালো সেবা পান—এ বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।

জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে ক্যান্সার ও হূদরোগ অনেক বেড়েছে। এর একটি কারণ হলো, ভেজাল খাবার। এদিকে নজর রাখতে হবে। পরিবেশদূষণ করা যাবে না। ইটভাটার ধোঁয়া যাতে বায়ুদূষণ করতে না পারে, সে বিষয়ে নজর রাখতে হবে। এর ফলে ক্যান্সার ও স্ট্রোক হয়।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি বিভাগে একটি করে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ করছি। প্রতিটি বিভাগে একটি করে কিডনি হাসপাতালও করতে যাচ্ছি। প্রতিটি জেলায় ৫ বেড করে কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিট স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়েছি। এগুলোর কার্যক্রম প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।

অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারের ওপর বিশেষ কোনো নির্দেশনা দিয়েছেন কি না, জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ফার্মেসিগুলো যাতে প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি না করে, সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াতে বলা হয়েছে। আমাদের ওষুধ পলিসিতেও এটা রয়েছে, কিন্তু এটা সবাই মানে না। তিনি আরো বলেন, গরুর খামার, পোলট্রি, মৎস্য খামারে অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার হয়। সেটা গরু, পোলট্রি ও মাছ হয়ে আবার মানুষের শরীরেও চলে আসে। এ বিষয়গুলোতেও ডিসিদের সতর্ক হতে বলেছি। বিভিন্ন স্থানে ওনারা গিয়ে এ বিষয়টি যেন নিয়ন্ত্রণ করেন তার পরামর্শ দিয়েছি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads