• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
ডেঙ্গু মহামারী আকার হয়নি দাবি তথ্যমন্ত্রীর

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

ডেঙ্গু মহামারী আকার হয়নি দাবি তথ্যমন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৯ জুলাই ২০১৯

মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও সেটি কোনো মহামারী আকারে হয়নি বলে দাবি করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। ডেঙ্গু আর খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে অপরাজনীতি বিএনপির রাজনৈতিক দৈন্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

গতকাল রোববার ঢাকায় সিরডাপ মিলনায়তনে নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের সহায়তায় বেসরকারি সংস্থা রেড-অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্স আয়োজিত ‘জার্নালিস্টস ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

সভা শেষে ডেঙ্গু এবং খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বিএনপির মন্তব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির কথাবার্তায় মনে হয়, মশা কামড় দেওয়ার জন্যও আওয়ামী লীগ দায়ী। এখন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও সেটি কোনো মহামারী আকারে হয়নি এবং সরকার তা প্রতিরোধে সবকিছু করছে।’

তিনি বলেন, ডেঙ্গু শুধু বাংলাদেশে হয় তা নয়, এশিয়ার অন্যান্য দেশেও হয়। আমরা আশা করছি, খুব দ্রুতই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। কিন্তু তাদের (বিএনপির) কথাবার্তায় মনে হয় কোনো মশা যদি কামড় দেয় তার জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী। এভাবে কথা বলা তাদের রাজনৈতিক দৈন্যের বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এ সময় ‘বিএনপি কদিন পরপরই খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য খুব খারাপ, জীবন শঙ্কার মধ্যে এ কথাগুলো বলে’ মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, প্রকৃতপক্ষে খালেদা জিয়ার সর্বোচ্চ উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকার সবকিছু করছে। দেশের সর্বোচ্চ মেডিকেল বিদ্যাপীঠ হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়। দেশের সব বড় চিকিৎসকরা এই মেডিকেলের সঙ্গে যুক্ত। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কদিন আগে খালেদা জিয়ার জিহ্বায় যখন কামড় লেগেছিল তখন তারা বলেছিলেন, খালেদা জিয়ার জীবন শঙ্কার মুখে, কিছু খেতে পারছেন না। অর্থাৎ একটি ছোট্ট বিষয়কে তারা যেভাবে বলেছিলেন তা অত্যন্ত হাস্যকর এবং এখনো যা বলছেন, তা অপরাজনীতি এবং এতে তাদের রাজনৈতিক দীনতাই ফুটে উঠছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ২০৪১ সালনাগাদ সত্যিকার অর্থে বাংলাদেশকে একটি ‘সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেট’-এ পরিণত করতে যাচ্ছি আমরা। উন্নত রাষ্ট্রের পাশাপাশি উন্নত জাতি এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্রে উন্নীত হওয়ার এ প্রক্রিয়ায় গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। 

‘আমাদের দেশের মেয়েরা কখনো ভাবেইনি, মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হবে, যেটা পশ্চিম ইউরোপে দেওয়া হয়’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন দুস্থ মায়েদের জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতা দেওয়া হয়। আমাদের দেশে কেউ স্বামী-পরিত্যক্ত ভাতা দাবিই করেনি, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বামী-পরিত্যক্ত ভাতা চালু করেছেন। উন্নত দেশগুলোতেও এমন ভাতা দেওয়া হয় না। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা দেশকে উন্নত রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি ২০৪১ সাল নাগাদ একটি সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার স্টেটে রূপান্তরিত করতে চাই। সেই লক্ষ্যেই সব কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সাল নাগাদ আমরা যে স্বপ্নের কথা বলেছি, একটি উন্নত দেশ গঠনের পাশাপাশি আমরা যদি উন্নত জাতি গঠন করতে পারি সে জন্য কাজ করতে হবে। সেখানে সাংবাদিকদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ প্রতিটি মানুষ গণমাধ্যমের ওপর নির্ভরশীল। এখন সেটির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। মানুষের মনন তৈরি করার ক্ষেত্রে, সমাজকে সঠিক খাতে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে, সমাজের তৃতীয় নয়ন খোলার ক্ষেত্রে, অবহেলিতদের পক্ষে কথা বলার ক্ষেত্রে, যাদের ভাষা নেই তাদের ভাষা দেওয়ার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

রেড-অরেঞ্জ মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী এ কে এম মহিউল ইসলাম, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে নেদারল্যান্সস দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান জেরোয়েন স্টিজ, আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের লাইন পরিচালক ড. আশরাফুননেছা ও প্রকল্প পরিচালক ড. আবুল হোসেইন সভায় বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানে নারী স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৯০ জন সাংবাদিককে সনদ ও এ বিষয়ে সেরা প্রতিবেদনের জন্য ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads