• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
হাসুমণির পাঠশালার গোলটেবিল আলোচনা

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

হাসুমণির পাঠশালার গোলটেবিল আলোচনা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ জুলাই ২০১৯

হাসুমণির পাঠশালার উদ্যোগে ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধের প্রাসঙ্গিকতা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভা গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে অনুুষ্ঠিত হয়। সভায় হাসুমণির পাঠশালার সভাপতি মারুফা আক্তার পপির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. গওহর রিজভী।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান উদ্বোধনের পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম আল্লামা সিদ্দিকী।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, আমরা আজ একটি গণতান্ত্রিক সমাজে বসবাস করছি। সংবিধান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছে। প্রিয়া সাহা যা বলেছেন তা মিথ্যা। আমাদের দেশ উন্নত হচ্ছে। আমরা আজ অনেক ভালো আছি। বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের মডেল হচ্ছে।

তিনি দেশের বর্তমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বলেন, কোন ধর্মে বলা আছে অন্য ধর্মের লোককে মারতে হবে? অত্যাচার-নির্যাতন করতে হবে? দেশ ত্যাগে বাধ্য করতে হবে? যারা গুন্ডা-বদমাইশ তারা কি ধর্মের লোক? কেন আমরা তাদের ধর্মের মধ্যে টেনে নিয়ে আসি? কেন রাজনৈতিক প্রশ্রয় দিচ্ছি?

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২৩ বছরের জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করে হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান-বৌদ্ধ ও অন্যান্য সব জাতি গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ করে মাত্র নয় মাস যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন। এই বাংলাদেশ তিরিশ লাখ শহীদের বিনিময়ে কেনা। এটা কারো দয়ার দেশ নয়।

মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, হিন্দু-বৌদ্ধ-মুসলমানসবাই একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছে। সবার রক্ত ছিল এক। মানুষ, অমানুষের মধ্যে পার্থক্য কোনো ধর্মেই নেই। সবার আগে আমরা মানুষ। তারপর ধর্ম। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম কোনো ধরনের সাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করে না। অসাম্প্রদায়িক দেশ বাংলাদেশে কোনো জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ থাকতে পারে না।

সভায় আরো বক্তব্য দেন বিশিষ্ট সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক জুনায়েদ হালিম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. খায়রুল চৌধুরীসহ প্রমুখ।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads