• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
রাজধানীতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু আজ

ছবি: বাংলাদেশের খবর

জাতীয়

রাজধানীতে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু আজ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ আগস্ট ২০১৯

কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য প্রস্তুত রাজধানীর পশুর হাটগুলো। নিয়ম অনুযায়ী আজ থেকে এসব হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হচ্ছে। এই বেচাকেনা চলবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত। আর হাট প্রস্তুত করতে ইতোমধ্যে ইজারাদারদের দেওয়া সময় শেষ হওয়ায় প্রস্তুতির কাজও শেষ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গতকালও রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে পশু আসতে দেখা গেছে। ঢাকার একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট গাবতলীতে রয়েছে সবচেয়ে বেশি পশু। এ বছর কোরবানির পশু কেনাবেচায় রাজধানীর ২৪টি হাটের জায়গা নির্ধারণ করেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় ১৪ কোরবানির পশুর অস্থায়ী হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় একটি স্থায়ী পশুর হাটসহ কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা ১০টি।

গতকাল সকালে সরেজমিনে গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা যায়, এ হাটের প্রস্তুতি প্রায় শেষের পথে। তারপরও গরুর সংখ্যা বাড়তে থাকায় কিছু স্থানে মাটি খুঁড়ে বাঁঁশ পোঁতার কাজ চলছিল। নতুন করে তৈরি করা হচ্ছিল গরু রাখার প্যান্ডেল। প্রচণ্ড গরমে কোথাও  ঝোলানো হচ্ছিল সিলিং ফ্যান।

এ হাটের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, এখানে প্রায় সারা দেশ থেকেই গরু আসছে। তবে প্রতিবছরের মতো সবচেয়ে বেশি গরু এসেছে কুষ্টিয়া থেকে। এরপরই রয়েছে পাবনা ও সিরাজগঞ্জ। এছাড়া ঝিনাইদহ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, মাগুরা জেলা থেকে আসা গরুর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।

অন্যদিকে মেরুল বাড্ডা (আফতাবনগর) গরুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে অবকাঠামোর কাজ প্রায় শেষের দিকে। প্রতি ঘণ্টায় দু-একটি ট্রাকে গরুও আসছিল সেখানে। ওই হাটের ইজারাদার নবী হোসেন রনী বলেন, কাল থেকে এ হাটে কেনাবেচা শুরু হবে। এ বছর বিক্রি শুরুর আগ পর্যন্ত ৬০ থেকে ৭০ হাজার পশু আসবে বলে আমরা আশা করছি। 

আফতাবনগরের থেকেও একটু বেশি জমজমাট ভাটারা (সাঈদনগর) এলাকার হাটটি। সেখানে লক্ষাধিক গরু আসবে বলে ধারণা ওই হাটের ইজারাদার ইকবাল হোসেন খন্দকারের। তিনি বলেন, এ হাটে গত শুক্রবার থেকে গবাদিপশু আসতে শুরু করেছে। ঈদের দুদিন আগে এর পরিমাণ বাড়ে এবং বেচাকেনাও তখন বেশি হয়। শহরে রাখার স্থান সংকটের কারণে রাজধানীতে অনেকে আগে গরু কেনেন না।

হাটসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিবছরের মতো হাটে পুলিশ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি চারপাশে যথেষ্টসংখ্যক নজরদারি টাওয়ারও নির্মাণ করা হয়েছে। হাটের ক্রেতা ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তায় পুলিশের পাশাপাশি বিশেষ পোশাকের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া হাটগুলোতে থাকবে সিসি ক্যামেরা ও জালনোট শনাক্তকরণের যন্ত্র।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় ২৫টি হাটে এ বছর ২৭টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম থাকবে। এর মধ্যে গাবতলী ও বছিলা হাটে দুটি করে মেডিকেল টিম থাকবে। অন্য হাটগুলোতে একটি করে টিম থাকবে। এসব টিম আগামী ৯, ১০, ১১ আগস্ট এবং ঢাকার বাইরে আরো দুদিন আগে থেকে চিকিৎসা দেবে।

অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, চিকিৎসা দেওয়ার পাশাপাশি কৃত্রিমভাবে গরু মোটাতাজাকরণ প্রতিরোধের বিষয়ে মনিটরিং করা হবে। যদিও এখন বাংলাদেশে এ প্র্যাকটিসটা হয় না। তারপরও আমাদের মনিটরিং থাকবে, হাটেও এ বিষয়ে আমরা কঠিন মনিটরিং করব।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads