• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

পেঁয়াজ নিয়ে আগেই পরিকল্পনা করা উচিত ছিল : কৃষিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ অক্টোবর ২০১৯

পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির আগেই এ বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে। সারা দেশে উৎপাদনও কমেছে। সেই মুহূর্তে এমন সরবরাহ সংকট। সুতরাং আগেই পরিকল্পনা নেওয়া উচিত ছিল।

গতকাল বুধবার বাংলাদেশ কীটপতঙ্গের ই-সার্ভিল্যান্স এবং ফল আর্মিওয়ার্ম দমন প্রকল্পের কর্মশালায় মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, পেঁয়াজের দাম কমাতে এখন নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। হয়তো পেঁয়াজের দাম কমে যাবে। কিন্তু বর্তমানে এর দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশের ওপর নির্ভর করতে হয়, পণ্যটির জোগান নিশ্চিত করতে। আর ভারতে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও বন্ধ করে দিয়েছে। যে কারণে দাম বাড়তি।

অন্যদিকে প্রকল্প সম্পর্কে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ভুট্টার উৎপাদন দিন দিন বেড়ে চলছে। ভুট্টা এখন যুক্ত হচ্ছে পোল্ট্রিশিল্পের সঙ্গে। ভুট্টার ভবিষ্যৎ খুবই ভালো। তবে কৃষি তথা ভুট্টার জন্য ক্ষতিকর হচ্ছে বিভিন্ন কীটপতঙ্গ; যার মধ্যে বেশি ক্ষতিকর হচ্ছে ফল আর্মিওয়ার্ম, যেটি দমনের কোনো কীটনাশক নেই। এ প্রকল্পের মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ নজরদারি কৃষির জন্য মঙ্গলজনক। সোলার পদ্ধতিতে পরিবেশবান্ধব কীটপতঙ্গ দমন করার জন্য ই-পেস্ট কার্যক্রম খুবই উপযোগী।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি কৃষিসচিব নাসিরুজ্জামান বলেন, ফল আর্মিওয়ার্ম ছাড়াও অনেক ধরনের কীটপতঙ্গ রয়েছে, সেগুলোর নজরদারির জন্য এবং সোলার সিস্টেমের মাধ্যমে কীটপতঙ্গ দমনের জন্য এ প্রকল্প সত্যি কৃষির জন্য ভালো। আমরা এসব কীটপতঙ্গ দমন করে ২০২১ সালের মধ্যে ভুট্টার উৎপাদন ৬১ লাখ টনে উন্নীত করব।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads