ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কলেজের একজন উপাধ্যক্ষকে প্রধান করে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেবে। তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রেসিডেনসিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এক জরুরি বৈঠকে এ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ।
তিনি জানান, শিক্ষার্থী নাইমুল আবরারের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে।
এদিকে শুক্র ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় স্কুল এবং কলেজ শাখা তালাবদ্ধ ছিল। তবে কলেজের বাইরে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছে। চার দফা দাবিতে কলেজের মূল গেটের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে
১. ঘটনার সময় সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে হবে
২. অনুষ্ঠানের ম্যানেজমেন্টের দায় স্বীকার করে কিশোর আলো ইভেন্ট অর্গানাইজ আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের লিখিত বক্তব্য দিতে হবে
৩. কমিটির রিপোর্ট ছাত্রদের হাতে পৌঁছাতে হবে
৪. শুধু দুর্ঘটনা নয়, তাদের গাফিলতি ম্যানেজমেন্ট এবং উদাসীনতা উল্লেখ করে পত্রিকায় বিবৃতি প্রদানে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়েছে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আমার ভাই মরা গেল, ‘কিশোর আলো চুপ কেন, কিশোর আলোর অমানবিকতা, মানি না মানবো না’ এ জাতীয় স্লোগান দেন।
উল্লেখ্য, আবরার ওই প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির দিবা শাখার শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীতে। শুক্রবার রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে কিশোরদের মাসিক পত্রিকা কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠান দেখতে এসেছিল সে। বিকেলে অনুষ্ঠান মঞ্চের পেছনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে সেখানে জরুরি মেডিকেল ক্যাম্পের দুই চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়। এরপর তাকে মহাখালীর বেসরকারি ইউনিভার্সেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শুক্রবার রাতে রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজ মাঠে জানাজা শেষে আবরারের মরদেহ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুরে নেয়া হয়। শনিবার সকালে জানাজা শেষে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক নাইমুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আবরারকে চিরকাল স্মরণ করা হবে। এ দুর্ঘটনা কেন ঘটল, তা কঠোরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।