• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

মুন্সীগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০১৯

মুন্সীগঞ্জে বাস-বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এরমধ্যে লৌহজং উপজেলার কনকসারে একই পরিবারের ছয়জনসহ ৮ জনের জানাজা এবং পরবর্তীতে দাফন সম্পন্ন হয়।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার কনকসার বটতলা গ্রামের বাহ্মণগাঁও উচ্চবিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে হলদিয়া সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। এখনও চলছে স্বজনহারাদের আহাজারি। এছাড়া সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

জানাজায় শত শত লোক অংশ নেয়। জানাজা নামাজে ঈমামতি করেন লৌহজং টেউটিয়া ইউনিয়ন মসজিদের পেশ ঈমাম। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সকলেই ছিল শোকাতুর। পরে নিহতদের ৭ জনকে হলদিয়ার সাতঘড়িয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়। একজনকে কাহেতারায় দাফন করা হয়। আর মাইক্রোবাস চালক বিল্লালের লাশ তার গ্রামের বাড়ি শ্রীনগরে দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার দুপুরে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বাস ও বরযাত্রীবাহি মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৯ জন নিহত হয়। এ সময় ১০ জন বাস যাত্রীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শ্রীনগরের ষোলঘর হাসপাতাল এবং ২জন মাইক্রোবাসের যাত্রীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার হাসপাতালে পাঠানো হয়।

প্রত্যক্ষদশী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর নামক স্থানে ঢাকার মিরপুর থেকে ছেড়ে আসা শিমুলিয়াগামী (মাওয়া) স্বাধীন পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব- ১৪-৮১৯৪) যাত্রীবাহী বাসের সাথে ঢাকাগামী একটি বরযাত্রীবাহি মাইক্রো বাসের (ঢাকা মেট্রো- চ- ১৫-৫৫৬৬) মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। পরে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো এক জনের মৃত্যু হয়। আজ সকালে জাহাঙ্গীর আলম নামে অপর আহত ব্যক্তি মারা যায়।

জানা যায়, একটি মাইক্রোবাসে করে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কনকসার গ্রাম থেকে মুদী দোকানি রুবেল হোসেনের বরযাত্রী যাচ্ছিল ঢাকার কেরানীগঞ্জের কামরাঙ্গীচর এলাকায়। মাইক্রোবাসটি ঢাকা-মাওয়া সড়কের  শ্রীনগরের ষোলঘর নামক স্থানে গেলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এ সময়ে মাইক্রোবাসের ভিতরে থাকা বরের বাবা আব্দুর রশীদ বোপারী (৬৫), বোন লিজা (২৩) ও লিজার মেয়ে তাবাসসুম (৪), ভাবী রুনা আক্তার (২২) ও তার ছেলে তাহসিন (৩) এবং প্রতিবেশী মফিজুল (৬০), কেরামত আলী (৭০) চালক বিল্লাল (৩০) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা মাইক্রোবাসের ভেতরে আটকে পড়া নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩০ মিনিট মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিল।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads