• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাকিসহ ১৫ জন হাসপাতালে

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

বাম জোটের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, সাকিসহ ১৫ জন হাসপাতালে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বাম গণতান্ত্রিক জোটের কালো পতাকা নিয়ে পদযাত্রা কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ। এতে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং তিন পুলিশ সদস্যসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে দিনটিকে 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' হিসেবে পালন করছে বামজোট। এর অংশ হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টিসহ বাম জোটভুক্ত দলগুলোর নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন। দুপুর ১টার দিকে তারা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করে তাঁরা মৎস্য ভবন মোড়ে পৌঁছালে তাতে বাধা দেয় পুলিশ। একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধলে পুলিশের লাঠিপেটায় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি এবং বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। আহতদের মধ্যে সাকি ও সাইফুলসহ ১৪ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গণংসহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, 'আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলছিল। কিন্তু পুলিশ এতে বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। পুলিশের বেধড়ক লাঠিপেটায় আমার মাথা ফেটে গেছে। অনেকে আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, বাম জোটের নেতাকর্মীদের থামাতে পুলিশ ব্যারিকেড দেয়। কিন্তু তাঁরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় জোটের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালালে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ বাম জোটের নেতাকর্মীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads