• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বিদায় ২০১৯

সম্ভাবনার আলোয় আলোকিত দেশ

রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কমেছে দারিদ্র্যের হার # শুদ্ধি অভিযান প্রশংসা পেলেও সুশাসন উন্নয়নের অন্তরায় # অনেক সূচকে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে বাংলাদেশ

  • সাইদ আরমান
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশ! সেই তলাবিহীন ঝুড়ির দেশটি! স্বাধীনতার পর সে দেশে এক বড় দুর্ভিক্ষ ঘটেছে। চারটি ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত দেশটিকে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-বিধ্বস্ত দেশ হিসেবে চিহ্নিত করে বিদেশিরা। তিনটি সফলসহ অনেক ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে দেশটি অস্থির, জর্জরিত ও বিভ্রান্ত। দেশের দুজন রাষ্ট্রপতি নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন  সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে। দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করা হয় অনেক বার। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের শক্তি ও জঙ্গিবাদ দেশটির উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে টেনে ধরতে চেয়েছে। তবে অসাম্প্রদায়িক শক্তির বড় উদাহরণ বাংলাদেশ প্রায় সব সূচকেই সম্ভাবনার আলোয় আলোকিত।

সর্বশেষ ২০১৮-১৯ অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি বেড়েছে। স্বাধীনতার পর নতুন রেকর্ড করেছে জিডিপি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে দেশে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। প্রাথমিক হিসাবে এই হার ছিল ৮ দশমিক ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে ডলারের বিনিময় হার বৃদ্ধি পাওয়ায় স্বাধীনতা-পরবর্তী মাথাপিছু আয় ৩৮০ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৪০ টাকায়। যদিও ডলারের মাপকাঠিতে মাথাপিছু আয় প্রাথমিক হিসাবের সমপরিমাণে অর্থাৎ ১ হাজার ৯০৯ ডলারে স্থির রয়েছে। দেশে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। আর অতি দারিদ্র্যের হার নেমেছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রাক্কলিত হিসাবে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল ২১ দশমিক ৮ শতাংশ এবং অতি দারিদ্র্যের হার ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ।

সরকার বলছে, দেশে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে দরিদ্রতা কমেছে। যদিও সংখ্যায় এখনো বড় জনগোষ্ঠী দারিদ্র্যসীমার নিচে। উচ্চহারে প্রবৃদ্ধি অর্জন দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে বলে সরকার বলছে। তবে দারিদ্র্য বিমোচনের গতি আরো বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদরা। প্রবৃদ্ধি বাড়লেও কর্মসংস্থান খুব একটা বাড়ছে না। কর্মসংস্থানবিহীন প্রবৃদ্ধি নিয়ে সমালোচনা করছেন অনেকেই।

সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মনে করেন, দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে দেশ যে গতিতে এগুচ্ছে সেটা অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালে বাংলাদেশে কোনো মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকবে না।

বিবিএসের ২০১০ সালের খানা আয় ও ব্যয় জরিপ অনুযায়ী, তখন দেশের সার্বিক দারিদ্র্যের হার ছিল সাড়ে ৩১ শতাংশ। ২০১৬ সালের জরিপে তা কমে আসে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে। খানা আয় ও ব্যয় জরিপ কয়েক বছর পরপর করা হয়। মূলত খানা আয় ও ব্যয় জরিপের ওপর ভিত্তি করেই প্রতি বছর দারিদ্র্য হারের একটি অনুমিত হিসাব করে থাকে বিবিএস। অর্থনৈতিক, মানব উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়সহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে।

২০১৯ সালটি ক্যালেন্ডার থেকে বিদায় নিচ্ছে আজ। হিসাব-নিকাশ করলে বছরটা বাংলাদেশের জন্য ছিল অনেক প্রাপ্তির। আওয়ামী লীগ সরকার টানা তৃতীয় বারের মতো রাষ্ট্রক্ষমতায় আসে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বড় জয় দিয়ে সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। তবে ভোট নিয়ে দেশি ও বিদেশি সংবাদমাধ্যমে বেশকিছু অনিয়মের তথ্য আসে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টানা তৃতীয়বার শপথ নিয়ে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন তিনি। দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতাই ছিটকে পড়েন মন্ত্রিসভা থেকে। নতুন সদস্যদের নিয়ে নিজের কেবিনেট গঠন করে চমক দিয়ে বছর শুরু হয়। দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত তাদের নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা শপথ নেন। যোগ দেন সংসদে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল বছরজুড়ে। বড় কোনো রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়নি। রাজপথ ছিল নীরব।

তবে বছরের শেষ দিকে শুরু হয় রাজনৈতিক শুদ্ধি অভিযান। দেশের মানুষের প্রশংসাও কুড়িয়েছে শেখ হাসিনা সরকারের এই কার্যক্রম। রাতারাতি প্রভাবশালী ও দুর্নীতিবাজ বেশ কয়েকজনকে কারাগারে নেওয়া হয়। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের সতর্কবার্তা পৌঁছে যায়। পর্যায়ক্রমে তা ছড়িয়ে পড়ে সব খাতে। যদিও দুর্নীতি করলে ছাড় নেই—এমন বার্তার শুদ্ধি অভিযান কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। তবে যাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে, দলের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে এমন অনেককে দায়িত্ব থেকে দূরে রেখেছে আওয়ামী লীগ।

খুন-গুমসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন সময় আলোচনা হয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশি ও বিদেশি মানবাধিকার সংগঠনগুলো। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীদের শক্তভাবে বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে করা হয়েছে কয়েকটি আলোচিত খুনের বিচার। তারপরও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, থেমে নেই গুম, গুপ্তহত্যা, বিচারবহির্ভূত খুন ও হেফাজতে নির্যাতন এবং ন্যায়বিচারের সুযোগহীনতার মতো বিষয়গুলো। মানবাধিকার লঙ্ঘনের নৃশংসতম ও চরম অপরাধগুলো রাষ্ট্রীয় নীতি ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া ঘটার সুযোগ নেই। মানবাধিকারের এসব লঙ্ঘনের কোনোটি বিচ্ছিন্নভাবেও সংঘটিত হয় না, এগুলো পরস্পর সম্পৃক্ত; একটি অপরটিকে আরো গুরুতর দিকে পরিচালিত করে এবং চূড়ান্তভাবে আইনের শাসনকে বিপন্ন করে তোলে।

বিএনপি সংসদে যোগ দেওয়ায় সরকারের সমালোচনার পক্ষ তৈরি হয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও সংসদ ২০১৯ সালে কিছুটা কার্যকর ছিল বলা যায়। তবে সংসদীয় কমিটিগুলো আরো কার্যকর করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এই প্রতিবেদককে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেনি। সরকার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডকে সমর্থনও করে না। গুম-খুনের এসব ঘটনার সঙ্গে সন্ত্রাসীরা জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে সব সময় অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মানবাধিকারের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমরা পিছিয়ে আছি। মানবাধিকারের যেসব ইস্যু থাকে যেমন স্বাধীনভাবে মানুষ জীবন যাপন করতে পারবে। সেই স্বাধীনভাবে জীবন যাপনের অর্থ হচ্ছে— কোনো রকমের মুখাপেক্ষী না থেকে বাকস্বাধীনতা, চলাফেরার স্বাধীনতা, বিশ্বাসের স্বাধীনতা, সংগঠন করার স্বাধীনতা। কিন্তু এসব বিষয়ে প্রচণ্ড রকম বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। বিশেষ করে বাকস্বাধীনতা ও সংগঠন করার স্বাধীনতার ক্ষেত্রে অযাচিত হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে। যেসব আইনকানুন করা হচ্ছে, সেগুলোও স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।

এই মানবাধিকারকর্মী মনে করেন, দেশে বর্তমানে স্বাধীনভাবে চলাফেরার নিশ্চয়তাও নেই। বিশেষ করে নারীদের চলাফেরা নিরাপদ করা যায়নি। নানাবিধ অব্যবস্থাপনার কারণে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিরাপদে বাড়ি ফেরার নিশ্চয়তা পাচ্ছি না আমরা।

ক্রিকেট দেশের জন্য গৌরবের। তবে ২০১৯ সালে সবকিছুকে ছাপিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হওয়ার ঘটনা। জুয়াড়ির প্রস্তাবকে গোপন করার দায়ে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে। এ ঘটনায় দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা হতাশ হয়েছেন, ব্যথিত সাবিকভক্তরা। অন্যদিকে, ক্রিকেটারদের ধর্মঘট বিব্রত করেছে সরকারকে। তবে সাফল্য দেখিয়েছেন আমাদের নারী ক্রিকেটাররা।

অনেক অর্জন আছে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে। নারীর ক্ষমতায়নে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের উদাহরণ। প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলীয় নেত্রী নারী। জাতীয় সংসদের স্পিকার নারী। মন্ত্রিসভায়ও রয়েছেন কয়েকজন নারী। বিচার বিভাগসহ প্রশাসনের শীর্ষপদেও আজ বাংলাদেশের নারীর উজ্জ্বল উপস্থিতি। ২০১৯ সালে নারীর ক্ষমতায়নে আরো অগ্রগতি লাভ করে বাংলাদেশ।

কাল বছরের প্রথম দিন। বছরের প্রথম দিনেই আমাদের শিশু-কিশোররা নতুন বই হাতে পাবে। ২০১৯ সালের পহেলা জানুয়ারি ৪ কোটি ২৬ লাখ ১৯ হাজার ৮৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৩৫ কোটি নতুন বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। গত জুনে বাজেট ঘোষণা করে শিক্ষা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। শিক্ষা খাতে গত বছরে বড় অর্জন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা। বিগত প্রায় দশ বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর একসঙ্গে ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়। পাবলিক ও বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগের অভিন্ন নীতিমালা তৈরির কাজ চলছে। তবে এ নিয়ে ভিন্নমত রয়েছে শিক্ষকদের।

বৈদেশিক সম্পর্কে বাংলাদেশ বিগত দিনে চমক দেখিয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুতে ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক সমর্থন বেড়েছে। আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে শুনানি হয়েছে। জাতিসংঘও চাপ তৈরি করছে দেশটির ওপর। তবে শঙ্কা থেকেই গেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে। মিয়ানমার আদৌ তাদের ফেরত নেবে কি-না তা এখনো অজানা।

বিচার প্রশাসন নিয়ে হতাশা কাটেনি এখনো। খোদ প্রধান বিচারপতিও বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য করেছেন বছরটির বিভিন্ন সময়। আজ দেশে অজস্র চাঞ্চল্যকর খুনের কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেন না দায়িত্বে নিযুক্ত ব্যক্তিরা। অপরাধের তদন্তে একাধিকবার কর্মকর্তা বদল হন এবং নতুন করে তদন্তে অভিযোগ খাস্তা হয়ে যায়। মামলা-মোকদ্দমায় কোর্ট-কাচারি এমনই ভারাক্রান্ত যে, বছরের পর বছর চলে যায়; কিন্তু মামলার সুরাহা হয় না।

বছরের শেষ দিকে এসে সমালোচনায় পড়তে হয় রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে। সংশ্লিষ্টদের অদক্ষতার কারণে গত ১৫ ডিসেম্বর রাজাকারের যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ও কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হয়। ত্রুটিপূর্ণ তালিকার কারণে দেশজুড়ে সমালোচনা শুরু হয়। অবশ্য তালিকার ত্রুটি মেনে নিয়ে সরকার সেটি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।

স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভর করে অর্থনীতির সূচকগুলোও সন্তোষজনক। জিডিপি প্রবৃদ্ধি যেমন বেড়েছে তেমনি জনশক্তি রপ্তানি কমলেও বেড়েছে প্রবাসী আয়। রপ্তানি আয় কখনো কখনো হোঁচট খেলেও গতি অব্যাহত। তবে ব্যাংক ঋণের উচ্চ সুদের কারণে ২০১৯ সালে  বেসরকারি উদ্যোক্তারা প্রত্যাশিত বিনিয়োগ করতে পারেননি। তবে প্রতিশ্রুতি বেড়েছে বৈদেশিক বিনিয়োগের। নারীশ্রমিকদের বিদেশে নির্যাতন বছরজুড়ে ছিল সংবাদ মাধ্যমের খবরের উল্লেখযোগ্য উপাদান। নতুন বছরে সরকার এই খাতে আরো বেশি কূটনীতিক মনোযোগ দেবে বলে আশা করছেন বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads