• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
পর্যটনশিল্পের প্রসারে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি : প্রতিমন্ত্রী

ছবি : সংগৃহীত

জাতীয়

পর্যটনশিল্পের প্রসারে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি : প্রতিমন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ জানুয়ারি ২০২০

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, পর্যটনশিল্পের প্রসারে দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন। এ খাত থেকে সুফল ঘরে তুলতে হলে বেশি করে দক্ষ পর্যটন কর্মী তৈরি করতে হবে। আমাদের দেশে পর্যটন শিল্পে এখনো প্রচুর বিদেশি কাজ করে, যেখানে আমাদের দেশীয় লোকবলের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া পর্যটনবিষয়ক কোর্সসমূহ এখাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি বিভাগের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন তাদের ট্রেনিং সেন্টারের মাধ্যমে জনশক্তি তৈরিতে কাজ করছে। দক্ষ পর্যটন কর্মী গড়ে তোলার জন্য পর্যটন কর্পোরেশন পরিচালিত ন্যাশনাল হোটেল এন্ড ট্যুরিজম ট্রেনিং ইন্সটিটিউট এর ঢাকা অফিসের বাইরেও বরিশাল ও কক্সবাজারে দুইটি নতুন কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে পৃথিবীতে প্রতি ১০ জনের মধ্যে ১ জন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে পর্যটন সম্পর্কিত পেশার সাথে জড়িত। পর্যটন শিল্পের দ্রুত বিকাশের ফলে এ শিল্পে দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বেকারত্ব দূরীকরণে পর্যটন শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের ২০১৮ সালের বাৎসরিক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাংলাদেশে পর্যটন শিল্প প্রত্যক্ষভাবে ১১ লাখ ৭৮ হাজার ৫০০ লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে যা ২০২৮ সালে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ লাখ ৪৮ হাজারে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পর্যটন যেকোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের হাতিয়ার। জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অগ্রাধিকার খাত পর্যটনের উন্নয়নে সমন্বিত ও পরিকল্পিত কর্মকৌশলের উপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। পর্যটন খাতে বিনিয়োগের জন্য উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনাসহ বেসরকারি খাতকে এগিয়ে আসার জন্য আমরা উৎসাহ প্রদান করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যেই দেশে বিনিয়োগের পরিবেশ নিশ্চিত করেছে। ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল এন্ড ট্যুরিজম কাউন্সিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে পর্যটন খাতে বিনিয়োগ ২০২৮ সালে ১৬১.৮ বিলিয়ন টাকায় পৌঁছাবে।

মাহবুব আলী বলেন, গত দশ বছরে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার ইতোমধ্যেই বেশ কিছু যুগান্তকারী কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছেন। পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবদানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে। আগামী ১৮ মাসের মধ্যে এ মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সম্পন্ন হবে। মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী স্বল্পমেয়াদী,মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের পর্যটন উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হবে। আমাদের আরো কিছু পরিকল্পনা রয়েছে যা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশের পর্যটন খাত দেশের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পের পরিণত হবে। বাংলাদেশের পর্যটন খাতের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার অত্যন্ত আন্তরিক।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডঃ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডঃ ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মুজিব উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ডঃ মোঃ আফজাল হোসেন ও প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার স্টিফেন জেমস পিটার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads