• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
পদ্মাসেতু শুধু বাংলাদেশের মর্যাদার স্তম্ভ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

আজ রবিবার বিকেলে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া (মাওয়া) ড্রেজার বেইজ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

জাতীয়

পদ্মাসেতু শুধু বাংলাদেশের মর্যাদার স্তম্ভ: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

  • লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ জানুয়ারি ২০২০

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু শুধু সেতু না, বাংলাদেশের মর্যাদার স্তম্ভ এ মর্যাদা ধরে রাখতে হবে, তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বিনির্মাণ করা হবে। 

আজ রবিবার বিকেলে লৌহজংয়ের শিমুলিয়া (মাওয়া) ড্রেজার বেইজ নির্মাণ কাজের আনুষঙ্গিক স্থাপনাদির উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, সরকার দেশে ১০ হাজার কি.মি. নৌপথ তৈরির পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। মনে রাখতে হবে পরিবহন মানেই সড়ক নয়। নদী ও রেলপথ দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। আর এসব পথ সংকুচিত হলে জীবনযাত্রাও সংকুচিত হয়ে যাবে।

বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিআইডব্লিউটিএ'র অতিরিক্ত সচিব ভোলানাথ দে, লৌহজং উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলার চেয়ারম্যান ওসমান গনী তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক আবদুর রশিদ শিকদার।

এসময় উপস্থিত ছিলেন লৌহজং উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কাবিরুল ইসলাম খান, উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান তোপাজ্জল হোসেন তপন, মেদিনীমন্ডল ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন খান, কুমারভোগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি লুৎফর রহমান তালুদকার, সাধারণ সম্পাদক সেলিম দেওয়ান প্রমুখ।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপথ কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে জানা যায়, শিমুলিয়া নদী বন্দর দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের ২১ জেলার লোকজন যাতায়াত করে থাকে। শিমুলিয়া নদী বন্দরে ৪টি ফেরীঘাট, ৪টি লঞ্চঘাট এবং ১টি স্পীডবোট ঘাট রয়েছে। ফেরিঘাট পরিচালনার জন্য শিমুলিয়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ ২৯.৩১ একর জমি অধিগ্রহণ করে। শিমুলিয়া ফেরিঘাটের সঙ্গে প্রধান সড়কের সমন্বয়ের জন্য ৭.১০ একর স্থানে পাকা রাস্তা বিদ্যমান রয়েছে। ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের জেলা সমূহের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থ’ার উন্নয়ন ও সহজীকরণের জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। পদ্মা সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হলে শিমুলিয়ায় বিদ্যমান ফেরিঘাটের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সমসাময়িক সময়েই উক্ত স্থানের সঠিক ও যুগোপযোগী ব্যবহারের পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। শিমুুলিয়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র স্থাপনাগুলোর যথাপোযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য শিমুলিয়ায় ড্রেজার বেইজ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। সে হিসেবে শিমুলিয়াঘাট (মাওয়া) ড্রেজার বেইজের জন্য বিভিন্ন ধরনের স্থাপনা নির্মাণের বিষয়ে এ প্রকল্পে সংস্থান রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যে শিমুলিয়া নদী বন্দরে সীমিত পরিসরে ড্রেজার বেইজের কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে শিমুলিয়া নদী বন্দরের ড্রেজার বেইজের কার্যক্রম ব্যপকভাবে পরিচালিত হবে। সে লক্ষ্যে শিমুলিয়া এলাকায় ড্রেজার বেইজের সহায়ক স্থাপনা নির্মাণ করা প্রয়োজন। উল্লেখ্য, কর্তৃপক্ষের জন্মলগ্ন হতে ড্রেজার বহরে মাত্র ৭টি ড্রেজার সংযুক্ত ছিল, বর্তমান সরকার নদী মার্তৃৃক বাংলাদেশের নদীগুলো সচল রাখার জন্য ক্যাপিট্যাল ড্রেজিং কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। সে লক্ষ্যে কর্তৃপক্ষের ড্রেজার বহরে ইতিমধ্যে নতুনভাবে ২৮টি ড্রেজার যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জমাদি সংগ্রহ প্রকল্পের আওতায় অবশিষ্ট ১০টি ড্রেজার শিগগিরই কর্তৃপক্ষের ড্রেজার বহরে যুক্ত হবে। প্রকল্পটির আওতায় নতুন ৭টি ড্রেজার বেইজ অফিস নির্মাণের কার্যক্রম চলমান আছে। বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃক বড় পরিসরে ড্রেজার বহর পরিচালনার জন্য অধিক সংখ্যক জনবল ও অবকাঠামোর প্রয়োজন হবে। সে আলোকে শিমুলিয়া ড্রেজার বেইজে অফিস ভবন নির্মাণ ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধিও লক্ষ্যে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ড্রেজার বেইজটি নতুনভাবে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। বড় পরিসরে ড্রেজার বহর পরিচালনার জন্য জনবল বৃদ্ধিও বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০টি ড্রেজারসহ সহায়ক যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জমাদি সংগ্রহ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাঠ পর্যায়ে ড্রেজার বেইজ অফিস নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ মিলিটারি ইন্সটিটিউট অব সায়েন্স টেকনোলজি কর্তৃক ডিজাইন, ড্রয়িং ও প্রাক্কলন করত কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads