পাকিস্তান থেকে আমদানি করা রং ফরসাকারী ক্রিমে বিপজ্জনক মাত্রায় পারদের (মার্কারি) উপস্থিতি মিলেছে। এর মধ্যে দুটিতে পারদের পাশাপাশি রয়েছে আরেক ক্ষতিকর উপাদান হাইড্রোকুইনোন। ১৩টি ক্রিম পরীক্ষা করে ৬টিতে এসব মানবস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর উপাদান পেয়েছে পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই)।
সংস্থাটি জানিয়েছে, নিয়মিত সার্ভিল্যান্স টিমের মাধ্যমে বাজার থেকে এসব ব্যান্ডের পণ্য ক্রয় করে পরীক্ষা করা হয়। বাংলাদেশে স্কিন ক্রিমের সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ মান (বিডিএস ১৩৮২:২০১৯)-এ মার্কারির গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ মাত্রা ১ পিপিএম এবং হাইড্রোকুইনোনের গ্রহণযোগ্য মাত্রা সর্বোচ্চ ৫ পিপিএম। কিন্তু পাকিস্তান থেকে আমদানি করা ওইসব ক্রিমে কয়েকশ গুণ ক্ষতিকর উপাদান মিলেছে।
এর মধ্যে গৌরী কসমেটিকস লিমিটেডের গৌরী ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির মাত্রা ৭৫৫ দশমিক ৮৫ পিপিএম, এসজে এন্টারপ্রাইজের চাঁদনী ব্র্যান্ডের ক্রিমে ৬২৯ দশমিক ৯৬ পিপিএম, কিউসি ইন্টারন্যাশনালের নিউ ফেস ক্রিমে ৫৯০ দশমিক ৩৮ পিপিএম, ক্রিয়েটিভ কসমেটিকসের ডিউ ক্রিমে ২৮৫ দশমিক ৮৮ পিপিএম, গোল্ডেন পার্ল কসমেটিক্সের পার্ল ক্রিমে ৬৫৪ দশমিক ১৩ পিপিএম, পুনিয়া ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ফাইজা ক্রিমে ৫৯০ দশমিক ৪৫ পিপিএম মিলেছে। বাকি দুটি ক্রিমে মার্কারির পাশাপাশি রয়েছে হাইড্রোকুইনোনও। এর মধ্যে নুর গোল্ড কসমেটিক্সের নুর ক্রিমে ১৯৩ দশমিক ৬৮ পিপিএম মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ১৯৮০ দশমিক ৬৮ পিপিএম এবং হোয়াইট পার্ল কসমেটিক্সের হোয়াইট পার্ল প্লাস ব্র্যান্ডের স্কিন ক্রিমে মার্কারির ৯৪৮ দশমিক ৯৩ পিপিএম ও হাইড্রোকুইনোনের মাত্রা ৪৩৪ দশমিক ৭৩ পিপিএম পাওয়া গেছে।
বিএসটিআই বলছে, মাত্রাতিরিক্ত মার্কারি ও হাইড্রোকুইনোনযুক্ত এসব ক্রিম দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে বিভিন্ন ধরনের চর্মরোগসহ বিভিন্ন গুরুতর জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
এমতাবস্থায় বিএসটিআই জনস্বাস্থ্য রক্ষার স্বার্থে অনতিবিলম্বে মাত্রাতিরিক্ত পারদযুক্ত এসব রং ফরসাকারী ক্রিম বিক্রি-বিতরণ বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। অন্যথায় এসব পণ্যের আমদানিকারক, সরবরাহকারী অথবা বিক্রেতাদের (অনলাইনসহ) বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একইসঙ্গে বিএসটিআই’র অনুমোদনহীন এসব স্কিন ক্রিম ব্যবহার হতে বিরত থাকার জন্য ক্রেতাদের অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
