• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার ডিসপ্লেতে দেখা যাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ মার্চ ২০২০

জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষের ঘড়ি থেমে যাবে ক্ষণগণনা শেষ হওয়ার পর, ১৬ মার্চ রাত ১২টায়। এরপর থেকেই মুজিববর্ষ ঘিরে স্থাপিত ডিসপ্লেতে দেখা যাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর লোগো, মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন ভিডিও এবং স্থিরচিত্র। ক্ষণগণনা শেষে মুজিববর্ষ শুরুর দিন ১৭ মার্চ মূল অনুষ্ঠান দেখা যাবে স্থাপন করা ডিসপ্লেগুলোতে। মুজিববর্ষ শেষে অর্থাৎ ২০২১ সালের ১৭ মার্চের পর থেকে ডিসপ্লেগুলোতে দেখা যাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। এটা চলবে ২০২২ সালের ২৬ মার্চ পর্যন্ত।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানায়, ২০২১ সালের ১৭ মার্চের পর থেকে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগের দিন পর্যন্ত যৌথভাবে চলবে মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালা। পরে ২০২১ সালের ২৬ মার্চের পর পরবর্তী এক বছর পর্যন্ত চলবে সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। মুজিববর্ষ ও সুবর্ণজয়ন্তীর পর ক্ষণগণনা ঘড়ির জন্য বসানো ডিসপ্লেগুলোতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ অন্যান্য জাতীয় দিবসগুলোর ক্ষণগণনা ব্যবস্থা রাখার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

পাশাপাশি এসব ডিসপ্লেতে প্রতিবছরই দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরার কাজটি অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করছে সরকার।

মুজিববর্ষ উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, হাতিরঝিল, উত্তরা, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮টি ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হয়েছে। সিটি করপোরেশন বাদ দিয়ে ৫৩টি জেলায় ক্ষণগণনার যন্ত্র বাসানো হয়েছে। টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে বিশেষভাবে ক্ষণগণনার দুটি যন্ত্র বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্ষণগণনার ব্যবস্থা করেছে।

মুজিববর্ষ শুরুর দিন: ১৭ মার্চ সকালে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর কবর জিয়ারতের মধ্য দিয়ে দিন শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন বিকালে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, মুজিববর্ষের প্রথম দিন ১৭ মার্চ প্রথম পর্বে আলোচনা, শেষ পর্বে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনে চলচ্চিত্র দেখানো হবে ১২টি। এ ছাড়া থাকবে প্রামাণ্যচিত্র। দেশে-বিদেশে বিভিন্ন আয়োজনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক প্রকাশনা করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বাইরে বিশ্বের ৭৭টি মিশনেও চলছে মুজিববর্ষ উদ্যাপনের প্রস্তুতি।

৭ মার্চ বিশেষ আয়োজন : মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শেষ হওয়ার আগে আজ শনিবার (৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ঘিরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। মুজিববর্ষের মূল অনুষ্ঠান আরো কিছুদিন পর শুরু হলেও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক দিনটিতে মুজিববর্ষ ঘিরেই থাকবে বিশেষ আয়োজন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads