• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
পাপিয়ার মতো দুর্বৃত্ত জন্মালে নারীর ক্ষমতায়ন অর্থহীন : নাসিম

ফাইল ছবি

জাতীয়

পাপিয়ার মতো দুর্বৃত্ত জন্মালে নারীর ক্ষমতায়ন অর্থহীন : নাসিম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০২০

নারীর ক্ষমতায়নের যুগে পাপিয়ার মতো দুর্বৃত্তের জন্ম হলে নারীর ক্ষমতায়ন অর্থহীন হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম।

গত রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

নাসিম বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন মানে নারীর ক্ষমতাকে যথেচ্ছ ব্যবহার করা নয়। আমি নারীর ক্ষমতায়ন অবশ্যই চাই। কিন্তু পাপিয়ার মতো কোনো দুর্বৃত্তের জন্ম যেন আর না হয়, সেটাও চাই। তাহলে নারীর ক্ষমতায়ন অর্থহীন হয়ে যাবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।

১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেন, আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধীদলের নেতা নারী, স্পিকার নারী, কবে রাষ্ট্রপতি নারী হবে সেই অপেক্ষায় আছি। আমরা মনেপ্রাণে চাই একজন নারী রাষ্ট্রপতি হোক। প্রয়াত আবদুল জলিলের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আবদুল জলিল ভাই। তিনি ছিলেন অমায়িক মানুষ, দলের জন্য নিবেদিতপ্রাণ।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক বলেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিক, মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় পঞ্চাশের দশকের শেষের দিকে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি আন্দোলন-সংগ্রামে যুক্ত হয়ে পড়েন। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মুক্তিযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রামের পুরোভাগে ছিলেন। তিনি ছাত্রলীগ ও পরে আওয়ামী লীগের বহু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এর মধ্যে ২০০২ থেকে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৯৩ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলী ও সংসদীয় বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আবদুল জলিল ১৯৭৩, ১৯৮৬, ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। আমরা তাকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হোসেন, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads