• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
পরিস্থিতির অবনতি হলে কিছু এলাকা লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: পিআইডি

জাতীয়

পরিস্থিতির অবনতি হলে কিছু এলাকা লকডাউন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০২০

আগামী দিনগুলোতে যদি করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হয় সরকার দেশের কিছু ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা লকডাউন বা অবরুদ্ধ করে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘চীন যেমন লকডাউন করেছে তেমনি বাংলাদেশে কোনো এলাকা লকডাউন করতে হলে আমরা করব। মাদারীপুর, ফরিদপুর, শিবচর- এসব এলাকায় বেশি প্রবাসী এসেছেন। এসব এলাকা প্রয়োজনে লকডাউন করব।’

‘সারা দেশে বর্তমানে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ কোয়ারেন্টাইনে আছেন...তারা কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম ভাঙার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

মন্ত্রী জানান, করোনাভাইরাসের লক্ষণ থাকা মানুষদের আইসোলেশনে রাখতে দুই হাজার শয্যা স্থাপনের জন্য সরকার কয়েকটি হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে।

এছাড়া, সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখতে ও চিকিৎসা দিতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান প্রস্তুত করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

‘দেশে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে যারা ফিরেছেন তাদের পেছনে ঘোরার দরকার নেই। মার্চে যারা আসছেন তাদের তালিকা করা হয়েছে। তাদের কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হবে,’ বলেন জাহিদ মালেক।

তিনি জানান, সরকার করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ১ লাখ কিট সংগ্রহ করতে যাচ্ছে এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার দু-এক দিনের মধ্যে যুক্তরাজ্যের সাথে বিমান চলাচল স্থগিত করবে।

এদিকে, বৃহস্পতিবার দেশে আরও চারজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্তের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ জন। সেই সাথে বুধবার প্রথমবারের মতো দেশে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হওয়ার কথা জানানো হয়।

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বৃহস্পতিবার ৮ হাজার ৯৬৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের ২ লাখ ১৯ হাজার ২৪০ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করেছে বলে ওয়ার্ল্ডোমিটার জানিয়েছে। তাদের মধ্যে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫২৮ জন বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন এবং এদের মধ্যে ৬ হাজার ৮১৫ জনের অবস্থা গুরুতর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads