• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে না ইজতেমা ময়দানে

ফাইল ছবি

জাতীয়

কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে না ইজতেমা ময়দানে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২০ মার্চ ২০২০

করোনা সংক্রমণ রোধে টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হচ্ছে না বলে জনিয়েছে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) অতিরিক্ত-উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-দক্ষিণ) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমা মাঠে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে উত্তরার দিয়াবাড়ি ও আশকোনা হাজী ক্যাম্পে করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

শুক্রবার (২০ মার্চ) সকালে টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমার ৪ নম্বর গেটে তাবলীগ জামাতের দায়িত্বপ্রাপ্ত জিম্মাদার চান মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মাঠে এসে জানিয়েছিলেন, এখানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। কিন্তু শুক্রবার সকালে জানতে পারি এটা উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় সেনা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে করা হচ্ছে। তবে তিনি জানান, ইজতেমা মাঠের মাদ্রাসা আজ (২০ মার্চ) সকালে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

গাজীপুর জেলার পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, গত ১৪ দিনে বিদেশ থেকে ৪ হাজার ২৩০ জন প্রবাসী গাজীপুরের কাপাসিয়া ও কালীগঞ্জে এসেছে। বিদেশ ফেরত এসব বাংলাদেশিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার জন্য গত বৃহস্পতিবার থেকে শতাধিক পুলিশ সদস্য ২৫ টি দলে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করছে।

এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের বাংলাদেশে সংক্রমণ ও বিস্তৃতির সম্ভাব্যতা এবং প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী করোনাভাইরাস সংক্রমণ-রোধে কোয়ারেন্টাইন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।


এতে বলা হয়, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে দুটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার পরিচালনা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে বিমান বন্দর সংলগ্ন আশকোনা হাজী ক্যাম্প এবং উত্তরার দিয়াবাড়ী (সেক্টর-১৮) সংলগ্ন রাজউক এপার্টমেন্ট প্রকল্প এলাকায় পৃথক দু’টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের বিমান বন্দরেই ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্বাচিত ব্যক্তিরা’ স্ক্রিনিং করার পর প্রয়োজনীয় ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শেষে সেনাবাহিনীর কাছে এসব যাত্রীকে হস্তান্তর করা হবে।

পরে সেনাবাহিনীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ সকল যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে স্থানান্তর, ডিজিটাল ডাটা এন্ট্রি কার্যক্রম সম্পন্ন, কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে থাকাকালীন সময়ে আহার, বাসস্থান, চিকিৎসা এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

সূত্র : বাসস

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads