• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯
সাংবাদিক কাজলকে অবিলম্বে মুক্তি দাবি আর্টিকেল নাইনটিনের

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সাংবাদিক কাজলকে অবিলম্বে মুক্তি দাবি আর্টিকেল নাইনটিনের

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৫ মে ২০২০

ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের অবিলম্বে ও বিনা শর্তে মুক্তির দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন।

দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকা কাজলকে উদ্ধারের পর তার বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়ার অপব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনে সংস্থাটি বলেছে, অপহরণের শিকার একজন নাগরিককে পিছমোড়া করে হাতকড়া লাগানো, একটি মামলায় জামিন পাওয়ার পর তার মুক্তি আটকাতে অপর একটি আইনের অপব্যবহার করে তাকে ফের গ্রেপ্তার করা এবং কারাগারে স্বজনদের দেখা করতে বাধা দেওয়া- এসবই কাজলের ক্ষেত্রে একই দিনে ঘটেছে, যা মৌলিক মানবাধিকার ও আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। 

আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আর্টিকেল নাইনটিন বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘’করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকার যখন কারাবন্দীদের মুক্তি দিচ্ছে, তখন কাজলকে যে প্রক্রিয়ায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে তার কোন যৌক্তিকতা নাই। খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ বা রাষ্ট্রদ্রোহিতার মতো ভয়ঙ্কর কোন মামলার আসামি কাজল নন। তার বিরুদ্ধে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিন্ন যে তিনটি মামলা হয়েছে, তাও কেবল ফেসবুকে মত প্রকাশের জন্য। এসব মামলার অন্তত একটিতে অন্য আসামীরা জামিনে মুক্ত আছেন। তাহলে কাজলকে আটকে রাখার জন্য কেন এতো তোরজোড়?’’

তিনি বলেন,  গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার ক্ষেত্র ক্রমাগতভাবে সঙ্কুচিত হচ্ছে এবং বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একের পর এক মামলার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদ মাধ্যমকে কোণঠাসা করে ফেলা হয়েছে। এই প্রবণতা ভয়ের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করছে, যা মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম তথা গণতন্ত্রের জন্য অশনি সংকেত। আর্টিকেল নাইনটিন আইনটি বাতিলের দাবি জানায়।

আর্টিকেল নাইনটিন ২০১৮ সালে সাংবাদিকসহ মত প্রকাশকর্মীদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারা ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া ৭১টি মামলার ঘটনা রেকর্ড করে। ২০১৯ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে  মত প্রকাশজনিত অপরাধের ৬৩টি মামলা রেকর্ড করা হয়। চলতি বছরের  জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এ সংক্রান্ত ৪৫টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে, যেগুলোর অধিকাংশই করা হযেছে গণমাধ্যমের সাংবাদিক ও সম্পাদকদের বিরুদ্ধে। সর্বশেষ গত ১ মে ২০২০ তারিখে নরসিংদীতে পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গত ৩ মে  মধ্য রাতে বেনাপোল সীমান্তে উদ্ধারের পর ’পক্ষকাল’ পত্রিকার সম্পাদক কাজলকে বেনাপোল বন্দর থানায় সোপর্দ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তখন তার বিরুদ্ধে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলাও করা হয়। বেনাপোল বন্দর থানা থেকে কাজলকে যশোরে আনা হয় দুপুরের দিকে। পুলিশের গোয়েন্দা শাখা অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পিছমোড়া করে হাতকড়া পড়া অবস্থাতে বিকেলের দিকে তাকে নেওয়া হয় যশোরের আদালতে। বিচারক কাজলকে জামিন দেন। এরপরই পুলিশ কাজলকে কোতোয়ালি থানা হাজতে নিয়ে রাখে এবং সন্ধ্যার দিকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads