• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে এক মাসে ৪৫ কোটি সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

দেশে এক মাসে ৪৫ কোটি সার্জিকাল মাস্ক ব্যবহার

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০২০

মহামারী ঠেকাতে প্রায় গোটা বিশ্বজুড়ে লকডাউনে বায়ু দূষণ কমলেও করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা সরঞ্জাম থেকে প্লাস্টিক বর্জ্য বেড়ে তা আবার পরিবেশ দূষণের কারণ হচ্ছে বলে বাংলাদেশের এক জরিপে উঠে এসেছে।

এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (এসডো) এই জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশে গত এক মাসে একবার ব্যবহৃত দ্রব্য থেকে ১৪ হাজার ১৬৫ টন ক্ষতিকর প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। এই বর্জ্যের ৩ হাজার ৭৬ টন উৎপন্ন হয়েছে শুধু ঢাকা শহরে।

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশে লকডাউন শুরু হয়, সম্প্রতি কিছুটা শিথিল হলেও তা এখনও চলছে। এই সময়ে নিত্যপণ্য ও ওষুধের দোকান ছাড়া সব দোকান-পাট, গণপরিবহন ছিল বন্ধ; নির্দেশনা ছিল, মানুষকে ঘরে থাকতে হবে।

কিন্তু এই সময়ে ভাইরাস থেকে সুরক্ষায় বাসাবাড়ি ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকে তৈরি সার্জিকাল ফেইস মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বেড়েছে, তা প্লাস্টিক বর্জ্যের বড় উৎস।

রোববার এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এসডো’র জ্যেষ্ঠ প্রকল্প কর্মকর্তা সৈয়দা মেহরাবিন সেঁজুতি তাদের জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরে বলেন, এপ্রিল মাসে একবার ব্যবহৃত যে প্লাস্টিক বর্জ্য তৈরি হয়েছে, তার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ হয়েছে সার্জিকাল ফেইস মাস্ক থেকে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সময়ে প্রায় সাড়ে ৪৫ কোটি সার্জিকাল ফেইস মাস্ক ব্যবহার করা হয়েছে, যা থেকে অন্তত ১ হাজার ৫৯২ টন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে। অন্য শহরের তুলনায় ঢাকা শহরেই এর পরিমাণ বেশি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads