• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

করোনা ভাইরাস

সামনের ২০-২৫ দিন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ মে ২০২০

সর্ব সাধারণের চলাচল ও সমাগম যত বাড়বে, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি ততই বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

দেশে করোনা ভাইরাস ভয়ংকর রূপ নেওয়ার পথে এগুচ্ছে। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে। দেশে এক দিনে রেকর্ড ৮৮৭ জনের মধ্যে গতকাল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ২০ থেকে ২৫ দিন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই সময়ে খুব মারাত্মকভাবে হারে ভাইরাসটির সামাজিক সংক্রমণ ঘটতে পারে। যেহেতু করোনা ভাইরাসের নেই নির্দিষ্ট ওষুধ, ভ্যাকসিন, তাই জনসচেতনার কোনো বিকল্প নেই। বাঁচতে চাইলে সবারই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

কিন্তু লকডাউন শিথিলের পর ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসেছে মানুষ। রাস্তাঘাট, বাজার, শপিংমল, দোকানপাটসহ অলিগলিতে গতকাল থেকে অনেক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ব্যক্তিগত প্রাইভেট গাড়ি চলাচলও বেড়েছে। জন চলাচল ও জনসমাগম যত বাড়বে, করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি ততই বেশি হবে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন।

দেশে সংক্রমণ যখন ঊর্ধ্বমুখী, তখন বেশ্বের অন্যন্য দেশের মতো আমাদের দেশেও শিথিল করে দেওয়া হয়েছে লকডাউন। অধিকাংশ গার্মেন্টস খুলে দেওয়া হয়েছে, বাকিগুলো খোলার অপেক্ষায়।

শ্রমিকরা নানাভাবে কষ্ট করে ঢাকায় আসছেন দলে দলে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দোকানপাট খোলা রাখার সময়েও বাড়ানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ইফতার বিক্রির অনুমতি। গতকাল থেকেই শর্তসাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল।

এসব সিদ্ধান্তে অনেক বিশেষজ্ঞই বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, সংক্রমণের চরিত্র দেখে এটা স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে, মে মাস হবে বাংলাদেশের জন্য খুবই ‘ক্রিটিক্যাল’। দেশে করোনার সংক্রমণের ক্ষেত্রে সরকার যে ভবিষ্যত্ চিত্রের খসড়া করেছে সেখানেও দেখানো হয়েছে, মে মাসের শেষ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছাতে পারে ১ লাখে। তাহলে কেন খুলে দেওয়া হচ্ছে সবকিছু—এর উত্তর জানেনা কেউই।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads