সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিক কামাল লোহানী আর নেই। আজ শনিবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
কামাল লোহানীর ছেলে সাগর লোহানী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ভোর সাড়ে ৬টায় বাবাকে লাইফ সাপোর্ট নেওয়া হয়। সোয়া ১০টায় লাইফ সাপোর্ট খুলে দেওয়া হয়। বাবার মাল্টিপাল অরগান অফ হয়ে গিয়েছিল। প্রেশার কমে গিয়েছিল, একেবারেই বাড়েনি। কিডনি ইনঅ্যাকটিভ হয়ে গিয়েছিল।’
কামাল লোহানী করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর আগে, ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা নিয়ে রাজধানীর হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন কামাল লোহানী। সেখান থেকেই তাকে কোভিড ডিডিকেটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। করোনায় আক্রান্ত কামাল লোহানী ফুসফুস ও কিডনির জটিলতা ছাড়াও হৃদ্রোগ ও ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও ভুগছিলেন।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়ে গ্রামের বাড়িতে পারিবারিক কবরস্থানে মায়ের কবরে তাকে সমাহিত করা হবে বলেও জানান সাগর লোহানী।
কামাল লোহানী ২০১৫ সালে একুশে পদক পান এবং শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক হিসেবে ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন।
কিংবদন্তি সাংবাদিক এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী ১৯৩৪ সালের ২৬ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, ভারত ভাগ এবং ভাষা আন্দোলনের জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেড়ে উঠেন।
একাত্তরের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বার্তা বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে দৈনিক মিল্লাতে সাংবাদিক হিসাবে প্রথম চাকরি শুরু করেন লোহানী। তিনি ১৯৬২ সালে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়নটে সেক্রেটারি হিসেবে যোগ দেন।