• শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪২৯
সুতী সুরক্ষা পরিষদের যাত্রা শুরু

ফাইল ছবি

জাতীয়

সুতী সুরক্ষা পরিষদের যাত্রা শুরু

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৯ জুলাই ২০২০

সুতী সুরক্ষা পরিষদের যাত্রা শুরু ঐতিহাসিক ভাওয়ালের উত্তর জনপদের সমতল ভূমির বুক চিড়ে বয়ে গেছে এক স্রোতস্বিনী। শীতলক্ষ্যা থেকে মেলবন্ধন রচনা করে পশ্চিমে মাটিকাটা আর খিরো নদীর সঙ্গে মিলিত এই মায়াময়ী নদীর নাম সুতী। এই সময়ের গাজীপুরের শ্রীপুর এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও ও ভালুকা উপজেলার বিস্তীর্ণ জনপদের প্রাণস্পন্দন গভীর এই নদীটি আজ বিষাক্ত তরল শিল্পবর্জ্যে অতি বিপন্ন। রাজধানী ঢাকাকে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের দূষণ-দখলের ভয়াবহতা যতটা প্রকাশ্যে আসে, সে তুলনায় প্রত্যন্ত জনপদের সুতী-খিরো কিংবা মাটিকাটার মতো নদীর বিপন্নতা নিয়ে তেমন হইচই হয় না।

তবে কৃষিজ উৎপাদনে সেচকাজে তিন উপজেলার হাজারো কৃষকের প্রধান উৎস সুতী ও সংলগ্ন নদীসমূহের সাম্প্রতিক ভয়াবহ দূষণ বিলম্বে হলেও দুই জেলার প্রকৃতিপ্রেমীদের একই মঞ্চে মিলিত করেছে। নদীকে দূষণের কবল থেকে রক্ষায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে আত্মপ্রকাশ করলো ‘সুতী সুরক্ষা পরিষদ’।

‘নদীকে বিপন্ন করে নয় সম্বৃদ্ধির জয়যাত্রা’ শ্লোগানে সংগঠনটি নদী দূষণ ও দখল রোধে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রতিরোধ বলয় গড়ে তোলা এবং নদীর প্রাণবৈচিত্র্য ফেরাতে নানামূখি প্রয়াস চালাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সম্প্রতি গাজীপুর ও ময়মনসিংহের বিশিষ্টজনদের সম্পৃক্ত করে নদী অববাহিকার তিন উপজেলা শ্রীপুর, গফরগাঁও ও ভালুকার প্রকৃতিপ্রেমীদের নিয়ে গঠিত হয়েছে সংগঠনটির কার্যনির্বাহী পর্ষদ।

সাংবাদিক ও গবেষক আশরাফুল ইসলামকে সভাপতি এবং উন্নয়নকর্মী আশরাফুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে সুতী সুরক্ষা পরিষদের ৩৩ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। দূষণ-দখলের হাত থেকে সুতী ও সংলগ্ন নদীগুলো রক্ষার এই আন্দোলনকে সার্বজনীন আন্দোলনে পরিণত করতে দুই জেলার বিশিষ্টজনদের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে ৫ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ। একইসঙ্গে নিয়মিতভাবে দূষণ ও দখলের প্রামাণ্য তথ্য সংগ্রহে স্থানীয় তরুণদের সমন্বয়ে ৭ সদস্যের একটি পর্যবেক্ষণ দলও গঠন করা হয়েছে।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে মেজর আফসার বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা আবদুল কাদির, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর ও শ্রীপুরের বলদীঘাট জে এম সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক মো. আমির হোসেন সংগঠনের উপদেষ্টা পর্ষদের সদস্য হিসেবে নির্বাহী পর্ষদকে পরামর্শদান করবেন।

ময়মনসিংহ বিভাগীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামকে সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) কৃষিবিদ দীন মোহাম্মদ দীনু, শ্রীপুরের সাতখামাইর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপা বিনতে আজিজ, ব্যাংকার ইমরুল হাসান ও পরিবেশকর্মী জহিরুল ইসলাম মানিক-কে সহ-সভাপতি মনোনীত করা হয়েছে।
পরিষদের নির্বাহী পর্ষদের অন্যরা হলেন যুগ্ম-সাধারণ প্রভাষক আবদুল আহাদ, মোহাম্মদ রবিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম (শ্রীপুর), মুর্শিদুজ্জামান আরাফাত (ভালুকা), মোহাইমিনুল ইসলাম জুয়েল (গফরগাঁও), দফতর সম্পাদক জাহিদ হাসান, প্রচার, প্রকাশনা ও গণমাধ্যম বিষয়ক সম্পাদক আজিজুন্নাহার শিমু, অর্থ সম্পাদক রাফায়েল আহমেদ রিজভী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. মাসুম করিম উজ্জ্বল, গণসংযোগ সম্পাদক সাকিল আহাম্মেদ, বাঁধবিষয়ক সম্পাদক আলী আকবর, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক আরাফাত খান, মৎস্য বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান মামুন, আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম রিফাত, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক অলিভা খান এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. রাশেদ আলম।

নির্বাহী সদস্যরা হলেন- রাহাত আকন্দ, রাসেল আহমেদ, এস এম নাদিম মোস্তাকিম, তাসলিমা ডলি, মেহেদী হাসান, মো. সাকিবুল হাসান, আতিকুল ইসলাম, মো. হিজভী সরকার, আব্দুল কাইয়ুম ও মো. আক্তার হোসেন। নদী পর্যবেক্ষণ দলের সদস্যরা হচ্ছেন-মো. রাসেল শেখ, মো. রিফাত হোসেন, মো. হৃদয় মিয়া, মো. রায়াতুল ইসলাম সৌরভ, মোহাম্মদ তারিফ মিয়া, মোহাম্মদ রাসেল, ও মো. বুলবুল মিয়া।

সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সুতী অববাহিকায় শ্রীপুরের বলদীঘাট বাজারে সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। অচিরেই এ সংগঠন সুতী ও সংলগ্ন নদীসমূহের দূষণ-দখলের চিত্র গণমাধ্যম এবং সর্বসাধারণের সামনে তুলে ধরবে। একইসঙ্গে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যম স্থানীয় জনগোষ্ঠিকে সঙ্গে নিয়ে দূষণ ও দখলকারীদের বিরুদ্ধে সমন্বিত আন্দোলন শুরু করবে। এ ছাড়া বিপন্ন এই নদীর প্রাণবৈচিত্র্য ফেরাতে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি গ্রহণেও সচেষ্ট থাকবে সুতী সুরক্ষা পরিষদ।

সূত্র: বিজ্ঞপ্তি

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads