• সোমবার, ৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪২৯
সিসিইউতে সম্রাট

সংগ‍ৃহীত ছবি

জাতীয়

সিসিইউতে সম্রাট

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

ক্যাসিনো সম্রাট খ্যাত যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট (৪৯) বুকে ব্যথা অনুভব করায় তাকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, সম্রাট মোটামুটি সুস্থ আছেন। তবে তার মাল্টিপল সমস্যা রয়েছে। তার হৃ‍ৎপিণ্ডে বাল্ব লাগানো হয়েছে, রয়েছে ‘রিদম ডিস্টার্বনেস’। তার চিকিৎসায় ১৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।

এর আগে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহাবুবুল ইসলাম জানান, সম্রাটের অবস্থার অবনতি হলে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ রোববার তাকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউট হাসপাতালের সিসিইউতে স্থানান্তর করেছে। তিনি এখন ওখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।

ক্যাসিনোবিরোধী বিশেষ অভিযানের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম থানার আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জশ্রীপুর চৌধুরী বাড়ি থেকে সহযোগী আরমানসহ সম্রাটকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তার বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনেও (দুদক) তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সর্বশেষ গতকাল রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) মানি লন্ডারিং আইনে তার বিরুদ্ধে ১৯৫ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ এনে আরো একটি মামলা দায়ের করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট ৪টি মামালা দায়ের হয়েছে।

গতকাল দায়ের হওয়ায় মামলায় অভিযোগ করা হয়, আসামি সম্রাট রাজধানীর কাকরাইলের ৭৪/এ নম্বর ভবনের চতুর্থ তলায় মেসার্স হিস মুভিজ নাম ব্যবহার করে ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে নানান ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেন। আসামি তার অপরাধলব্ধ আয়ের উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে তার সহযোগী আসামি এনামুল হক আরমান (৫৬) এর সহায়তায় অবৈধভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় আনুমানিক ১৯৫ কোটি টাকা পাচার করেছে মর্মে প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে।

সিআইডির কর্মকর্তারা জানান, সম্রাট ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত ৩৫ বার সিঙ্গাপুরে, ৩ বার মালয়েশিয়ায়, ২ বার দুবাইতে এবং ১ বার হংকং ভ্রমণ করেছে। এছাড়া তার সহযোগী এনামুল হক আরমান ২০১১ সাল থেকে ২০১৯ সালে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত ২৩ বার সিঙ্গাপুরে ভ্রমণ করেছে। সম্রাট ও আরমান অবৈধ অর্থ দিয়ে যৌথভাবে সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে।
সম্রাট বিশেষ করে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে অবৈধভাবে বিপুল অঙ্কের অর্থ উপার্জন করেছে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads