• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯
সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার  

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

সীমান্তে বিজিবির টহল জোরদার  

  • টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

কক্সবাজারের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্র সীমান্তের ওপারে হঠাৎ ভারী অস্ত্র ও অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। সীমান্তের বাইশফাড়ি এলাকায়সহ আশপাশে নতুন করে সবুজ রঙের তাঁবু টাঙ্গিয়ে অস্থায়ী চৌকি স্থাপন করেছে দেশটির সেনার। এ অবস্থায় সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির সদস্যরা টহলসহ সকল কার্যক্রম বৃদ্ধি করেছে। তবে মিয়ানমারের এ ধরনের উস্কানিমূলক আচরণে শূন্যরেখায় অবস্থানরত হাজারো রোহিঙ্গা ও সীমান্তের এপারের লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার সীমান্তে নজর রাখেন এমন একাধিক সরকারি কর্মকর্তা সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলছে, এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে। এদিকে গত রোববার সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা গেছে; এমন পরিস্থিতিতে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ ওয়েকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়েছিল।

জানতে চাইলে কক্সবাজার-৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, ‘আমরা আমাদের টহলসহ কার্যক্রম আরও জোরদার করেছি। আর সীমান্তে সকলকে সর্তক অবস্থানে রেখেছি। এ ব্যাপারে কোন রকম নতুন অনুপ্রবেশসহ কোন ঘটনা ঘটলে, কঠোরভাবে প্রতিহত করা হব। ওদের এলাকায় ওরা সমাবেশে সন্দেহজনক গতিবিধি সেনাদের উপস্থিতি ছিল, সেটি জেনেছি।’

সীমান্তের লোকজন জানায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনী সীমান্তের চৌকি স্থাপনসহ তাদের তৎপর দেখা গেছে। বিশেষ করে কয়েকদিন ধরে সীমান্তের তুমব্রু থেকে লেবুছড়ি পর্যন্ত এলাকায় এপার থেকে প্রতিদিন মিয়ানমার সেনাসদস্যদের নানা তৎপরতার দৃশ্য চোখে পড়ছে। আমাদের সন্দেহ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের বিজিপি (বর্ডার গার্ড পুলিশ) এর পোশাক পরে সেখানে অবস্থান করছে। তারাঁ সেখানে ৭-৮টি তাবু টাঙ্গিয়ে নতুন অহস্থায়ী চৌকি স্থাপন করছে। যা আগে ছিল না। এর আগেও বেশ কয়েকবার সীমান্তে সেনা টহল বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছিল।  

শুন্য রেখা রোহিঙ্গা শিবিরের এক নেতা বলেন, ‘দুই দিন ধরে তুমব্রু সীমান্তে গাড়ি চলাচলের বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। তাঁরা কি পুলিশ নাকি সেনাবাহিনী সেটি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এই নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজন ভয়ে আছে।  

টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমারে অভ্যন্তরে সমাবেশে সন্দেহজনক গতিবিধি সেনাদের উপস্থিতির কথা জেনেছি। তবে সীমান্তে সেনা টহল বৃদ্ধির বিষয়টি সত্য না। সীমান্তে আমরা সর্তক অবস্থানে রয়েছি।    

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads