• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ অক্টোবর ২০২০

ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। মশাবাহিত এ রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কারও হয়নি। তাই ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতাকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বর্তমানে ৩০ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫ জন ঢাকা বিভাগে ও বাকিরা অন্য বিভাগে ভর্তি রয়েছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্যমতে, গতকাল রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত নতুন ১২ রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। নতুন ভর্তি হওয়া ১২ জনের মধ্যে ঢাকায় রয়েছেন নয়জন। বাকি তিনজন ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫৭৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৫৩৯ জন ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।  রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে এখন পর্যন্ত চারজনের মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআর দুটি ঘটনার পর্যালোচনা সমাপ্ত করে একটি মৃত্যু ডেঙ্গুজনিত বলে নিশ্চিত করেছে।

গত বছর দেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবে সরকারি হিসাবে ১৭৯ জন মানুষ মারা গেলেও এই বছর এখন পর্যন্ত মাত্র একজন মারা গেছেন। মশাবাহিত এ রোগের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তাই ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতাকেই গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

ডেঙ্গুর প্রতিষেধক ভ্যাকসিন এখনো আবিষ্কার হয়নি জানিয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এমএ আজিজ বলেন, এটা খুবই কষ্টদায়ক ব্যাপার। কারণ ডেঙ্গুর চারটি সেরোটাইপ আছে। যার কারণে এখনো ভাইরাসটির ভ্যাকসিন আবিষ্কার করা সম্ভব হয়নি। তারপরেও ফিলিপাইনে একটা ট্রায়াল হয়েছিল কিন্তু অনেকেই মারা যাওয়ায় সেটা আর সামনে এগোয় নি।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। যেমন আমাদের মশারি টানাতে হবে, মশার ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, সিটি করপোরেশনগুলোর মশা নিধনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। বাড়ি-ঘরের আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে। জমা পানি রাখা যাবে না।

দেশে বর্তমানে কিছু ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তাই সিটি করপোরেশন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সমন্বিত ভূমিকা রাখতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৃষ্টির পরপরই এডিস মশার ডিম ফুটে লার্ভা বের হয়। লার্ভা ১০দিনের জীবনচক্র শেষ করবে। এক্ষেত্রে বৃষ্টির পর একই জায়গায় ১০দিন পানি জমাট থাকলে সেখান থেকে এডিস মশার জন্ম হবে, যদি সেখানে আগে থেকে এডিস মশার ডিম থাকে। একটি স্ত্রী মশা কমপক্ষে ১০০টি ডিম দিতে পারে। ডিমগুলো যে কোনো পরিবেশে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে এবং আট মাসেরও বেশি সময় বেঁচে থাকতে পারে; এমনকী কঠিন শীতেও বেঁচে থাকে এডিস মশার ডিম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads