• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

সুস্থ হওয়ার পরে ৬ মাস সংক্রমণের ঝুঁকি নেই

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২২ নভেম্বর ২০২০

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগের মধ্যেই আশার কথা জানালেন অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, আক্রান্ত রোগী সুস্থ হওয়ার পর ছয় মাসের মধ্যে ফের সংক্রমণের ঝুঁকি নেই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি এ তথ্য জানিয়েছে। করোনার ফের সংক্রমণ নিয়ে এক গবেষণা পরিচালনা করছিল অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। বিভিন্ন হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়া করোনা রোগীদের পর্যবেক্ষণে গবেষকরা দেখেছেন, পুনরায় সংক্রমণ কীভাবে হানা দিচ্ছে শরীরে। ১১ হাজার ৫২ রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর গবেষকরা বলছেন, যতটা উদ্বেগ ছিল, তা এখন কমে এসেছে। দেখা গেছে, করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অন্তত ছয় মাস ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারবে না।

অক্সফোর্ডের নিউফিল্ড ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথের গবেষক ডেভিড আই বলছেন, পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি কমছে মানেই কোভিড প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি টিকে থাকার সময় বাড়ছে। এটিই এই গবেষণার সবচেয়ে ভালো দিক। সংক্রমণ সারিয়ে ওঠার পরে যদি ছয় মাস অ্যান্টিবডি রক্তে থেকে যায় তাহলেই ভাইরাল স্ট্রেন আর নতুন করে রোগ ছড়াতে পারবে না।

সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১১ হাজার রোগীর মধ্যে ৮৯ জন যাদের রক্তে অ্যান্টিবডি ছিল না তারা ফের আক্রান্ত হয়েছেন এবং সংক্রমণের উপসর্গও রয়েছে। অন্যদিকে, ১ হাজার ২৪৬ জন রোগীর ক্ষেত্রে দেখা গেছে, এদের রক্তে করোনার অ্যান্টিবডি ছিল, তার পরেও সংক্রমণ হয়েছে এবং রোগীরা উপসর্গহীন। বাকি রোগীদের বেশির ভাগেরই রক্তে পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে এবং তাদের ক্ষেত্রে পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা নেই।

গবেষকরা বলছেন, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়ছে। তাই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্বও বাড়ছে। অন্তত পাঁচ থেকে সাত মাস টিকে থাকছে অ্যান্টিবডি। যদি রোগীর শরীরে কোনও ক্রনিক রোগ বা জটিল সংক্রমণজনিত রোগ না থাকে তাহলে এই অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব আরো বাড়বে বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads