• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

রিটার্ন জমার সময় বাড়ল এক মাস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ ডিসেম্বর ২০২০

অবশেষে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময় বাড়ল ১ মাস।  করোনা পরিস্থিতিতে আয়কর মেলার শেষ দিনে সময় বাড়িয়ে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম সাংবাদিকদের জানান, কোভিড পরিস্থিতির কারণে রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় এক মাস বাড়ানো হলো।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এনবিআরের ক্ষমতা প্রয়োগ করে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ব্যক্তি পর্যায়ের করদাতাদের সুবিধার্থে আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সময় এক মাস বৃদ্ধি করা হলো।

তিনি বলেন, দেশে ৫০ লাখ ৭২ হাজার নাগরিকের কর শনাক্তকারী নম্বর (টিআইএন) রয়েছে। সোমবার দুপুর পর্যন্ত তাদের মধ্যে ১৫ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন। এখনো কর অঞ্চলগুলোতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। পাশাপাশি কোভিড পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে আমরা এক মাস বৃদ্ধি করলাম।

গতকাল কর আইন-১ এর দ্বিতীয় সচিব মোঃ মহিদুল ইসলাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত আদেশে আয়কর রিটার্নের দাখিল সময়সীমা বাড়ানোর তথ্য জানানো হয়। আদেশে বলা হয়, আয়কর অধ্যাদেশ-১৯৮৪ এর ধারা ১৮৪জি-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সৃষ্ট অসুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে, ব্যক্তি-শ্রেণির করদাতার ২০২০-২১ করবছরে আয়কর রিটার্নের দাখিল সময়সীমা (যা ট্যাক্স ডে নামে সংজ্ঞায়িত) ৩০ নভেম্বর ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বর্ধিত করল।

গত রোববার সংস্থাটির চেয়ারম্যান আবু হেনা মোঃ রহমাতুল মুনিম জানিয়েছিলেন, মহামারী করোনাভাইরাস এসেছে প্রায় এক বছর হতে চলল। এ সময় আমাদের সব কর্মকাণ্ডই চলেছে। করদাতাদেরও সব সেবা দেওয়া হয়েছে। তাই আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আর বাড়ানো হবে না। যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন তাদের নির্ধারিত ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই রিটার্ন জমা দিতে হবে। তবে আবেদন সাপেক্ষে করদাতারা চাইলেই সময় বাড়াতে পারবেন।

এর একদিন পরই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করল এনবিআর। এছাড়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্ন দিতে না পারলে যৌক্তিক কারণ দেখিয়ে দুই থেকে চার মাস পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে নেওয়া যায়। এজন্য নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। তখন একজন কর কর্মকর্তা আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী জরিমানা, করের ওপর ৫০ শতাংশ অতিরিক্ত সরল সুদ কিংবা করের টাকার ওপর মাসিক ২ শতাংশ হারে বিলম্ব সুদ আরোপ করতে পারবেন। আবেদন করে সময় পেলেও বিলম্ব সুদ দিতে হবে, জরিমানা দিতে হবে না।

উল্লেখ্য, গত ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত দুই হাজার ৩৮৭ কোটি টাকার পরিশোধিত কর আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে এনবিআর। এ সময়ের মধ্যে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৮২৫টি রিটার্ন দাখিল হয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads