• শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জৈষ্ঠ ১৪২৯
আচরণ পরিবর্তনে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

আচরণ পরিবর্তনে ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

‘বিহেভিয়ার চেঞ্জ কমিউনিকেশন ক্যাম্পেইন আল্ট্রাপুওর সিলেকশন’ খাতে ৩৯ কোটি ৬৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ব্যয় হবে প্রকল্পের আওতায়। দরিদ্রদের আচরণ পরিবর্তন করতে নানা ক্যাম্পেইনে এসব টাকা ব্যয় করা হবে।

পাবলিক প্লেসে ছোট ছোট অনুষ্ঠান প্রচারণার মাধ্যমে দরিদ্রদের আচরণ পরিবর্তন করতে চায় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর (ডিপিএইচই)। যাতে করে দরিদ্ররা সঠিকভাবে হাত ধোয়া শিখতে পারেন। ‘মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি’ প্রকল্পের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় মানুষের আচরণ পরিবর্তনের ৪০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।

মানবসম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশনসহ ৫ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩০৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ২৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে ২ হাজার ৪২ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৪ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গণভবন থেকে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। অন্যদিকে শেরেবাংলা নগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী-সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন তুলে ধরেন পরিকল্পনা বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম।

মানবসম্পদ উন্নয়নে ‘গ্রামীণ পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্যবিধি’ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৮২ কোটি টাকা। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রকল্পের আওতায় দেশের ৩০টি জেলার মোট ৯৮টি উপজেলায় বসবাসকারী প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন (৪০ লাখ) লোক তাদের বাসভবনে নিরাপদে পরিচালিত ওয়াশ সুবিধা পাবেন। আরো প্রায় ১ মিলিয়ন (১০ লাখ) লোক বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকসহ জনসমাগমপূর্ণ স্থানে নিরাপদে পরিচালিত স্যানিটেশন সুবিধাগুলো পাবেন। এছাড়া প্রায় ২ দশমিক ৫ মিলিয়ন (২৫ লাখ) লোক কাউন্টার পার্টের (পিকেএসএফ) তহবিলের মাধ্যমে নিরাপদে পরিচালিত ওয়াশ সুবিধাগুলো পাবেন।

নরসিংদী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৯৫ কোটি টাকা, খুলনা জেলার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্পটি প্রথম সংশোধনীর মাধ্যমে ১১৭ কোটি টাকা ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। প্রকল্পটির মূল ব্যয় ছিল ৯৬ কোটি টকা। প্রি-পেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধন করা হয়েছে। এবার প্রকল্পের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে ২৫৫ কোটি টাকা। বর্তমানে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ৭৫৪ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads