• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯
করোনার নতুন ধরন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

করোনার নতুন ধরন, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

ব্রিটেনে করোনার নতুন ধরন ছড়াতে থাকায় ভারতসহ বিভিন্ন দেশ আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দিলেও বাংলাদেশ এখনো সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক গতকাল মঙ্গলবার বলেন, আমরা বিষয়টির ওপর তীক্ষ্ন নজর রাখছি। সময়মতো সিদ্ধান্তটা সবাইকে জানিয়ে দেব।

গত সেপ্টেম্বরে ব্রিটেনে করোনার ‘অত্যন্ত সংক্রামক’ ওই নতুন ধরনটির সন্ধান মেলে, যা লন্ডনসহ ইংল্যান্ডের বেশ কিছু এলাকায় দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসের ওই ভ্যারিয়েন্ট ইতোমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসেও পৌঁছে গেছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় প্রতিবেশীসহ ৪০টির বেশি দেশ ব্রিটিশ নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। প্রতিবেশী ভারতও ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশ এখনো কোনো দেশের সঙ্গে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করেনি জানিয়ে মহিবুল হক বলেন, কিছু দেশ যেহেতু আমাদের অ্যাকসেস দিচ্ছে না, সে কারণে আমাদের বিমান যেতে পারছে না। আমরা মধ্যপ্রাচ্যে (ফ্লাইট) বন্ধ করিনি, তারা তাদেরটা বন্ধ করেছে বলে আমাদের বিমান যেতে পারছে না।

সৌদি আরব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশি যাত্রীদের ভোগান্তি নিয়ে বলেন, বিভিন্ন দেশে যে সমস্ত ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়েছে, যাত্রীদের ভোগান্তি হয়েছে, আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। কারণ এটা তো আমাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। আমরা যেটা করবো, কোনো রকম ফি ছাড়াই, যখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, আমরা এ টিকিটটা রি-ইস্যু করে দেব তাদের। তখন তারা কোনো রকম বাড়তি পয়সা ছাড়াই আবার যেতে পারবে। অতীতের মতো যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানের এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

করোনা মহামারীর মধ্যে বিমানের তিন হাজার কোটি টাকা এবং পর্যটন খাতে দুই হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও করোনা পরিস্থিতির জন্য অনেক খাতে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে। একক মন্ত্রণালয় হিসেবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের। আমাদের বিমান, এয়ারপোর্ট, পর্যটন, হোটেল, মোটেল, রিসোর্টসহ সবকিছু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

গত সোমবার পর্যন্ত বাংলাদেশে ২৯টি এয়ারলাইনস ফ্লাইট পরিচালনা করে। এর মধ্যে যাত্রীবাহী ফ্লাইট ১৯৮টি, কার্গো ৭৪টি। বেসরকারি এয়ারলাইনসগুলোও মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে টিকে থাকাটাই কঠিন। প্রধানমন্ত্রীর সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণে আমরা ধীরে ধীরে একটা পর্যায়ে চলে আসছিলাম। আমাদের বিমানবন্দর, হোটেল-মোটেল, রিসোর্টগুলো খুলে দিয়েছি। তবে আবার আমরা একটা সমস্যায় পড়তে যাচ্ছি। কাজেই আমাদের আন্তরিকতার কোনো কমতি থাকবে না। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads