• বুধবার, ১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪২৯
প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ল

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

প্রিপেইড গ্যাস মিটার প্রকল্পের সময় ও ব্যয় বাড়ল

  • মোহসিন কবির
  • প্রকাশিত ২৩ ডিসেম্বর ২০২০

ঢাকা মহানগরীর আবাসিক খাতে সিস্টেম লস কমানো, প্রাকৃতিক গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা ও তদারকি সংক্রান্ত ব্যয় কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে রাজধানীতে আবাসিক গ্রাহক পর্যায়ে প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) ৭১২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৪টি থানায় ২০১৮ সাল নাগাদ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। তবে অফিস স্টেশনারি, সিল ও স্ট্যাম্প, ফটোকপিসহ বিভিন্ন খাতে অস্বাভাবিক ব্যয় ধরার কারণে প্রকল্পটি ১ম দফায় সংশোধন করলে ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৯ কোটি টাকা এবং প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয় ২০২০ সাল পর্যন্ত।

কিন্তু চলতি মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও ২ লাখ প্রিপেইড মিটারের মধ্যে এ পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে এক লাখ ৪১ হাজার ৯৭৬টি মিটার। এ কারণে প্রকল্পের অধীনে নতুন করে আরো ১ লাখ ২০ হাজার মিটার স্থাপন, জনবল বৃদ্ধি এবং সিডি/ভ্যাটের হার ১ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সময় ও ব্যয় বৃদ্ধির আবেদন করে একনেকে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার একনেকের বৈঠকে প্রকল্পটির ব্যয় ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা বৃদ্ধির করে ৭৫৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকার (২য় সংশোধিত) অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২ বছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। এছাড়া মিটারের মাসিক ভাড়া ৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০০ টাকা করা হয়েছে। বর্ধিত সময় এবং ঋণ সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা (জাইকা)। সংস্থাটি এই প্রকল্পে ৬৫১ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রদান করবে। এছাড়া তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের নিজস্ব তহবিল থেকে ২২ কোটি ৩২ লাখ এবং জিওবির মাধ্যমে ৮০ কোটি ৫১ লাখ টাকার অর্থ সংস্থান করা হবে।

প্রকল্পটির অধীনে থাকছে টার্ন-কি পদ্ধতিতে প্রিপেইড গ্যাস মিটার ক্রয়, গ্রাহক আঙিনায় স্থাপন ও কমিশনিং, ওয়েব সিস্টেম-এর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ক্রয়, স্থাপন এবং কমিশনিং, বৈদেশিক পরামর্শক সেবা গ্রহণ এবং  স্থানীয় ও বৈদেশিক প্রশিক্ষণ। সংশোধিত প্রকল্পে নতুন করে আরো ৭টি থানাকে যুক্ত করায় নগরীর ৪১টি থানার গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটার সেবার আওতায় আসবে। থানাগুলো হলো- আদাবর, বাড্ডা, বনানী, বংশাল ১ ভাসানটেক, বিমানবন্দর, ক্যান্টনমেন্ট, দক্ষিণখান, দারুসসালাম, ধানমন্ডি, গেণ্ডারিয়া, গুলশান, হাতিরঝিল, হাজারীবাগ, যাত্রাবাড়ী, কাফরুল, কলাবাগান, খিলগাঁও, খিলক্ষেত, লালবাগ, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, নিউমার্কেট, শাহবাগ,পল্লবী, পল্টন, রমনা, রামপুরা, রূপনগর, সবুজবাগ, শাহ আলী, শেরেবাংলানগর, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, তেজগাঁও, তুরাগ, উত্তরা পূর্ব, উত্তরা পশ্চিম, উত্তরখান, ভাটারা ও ওয়ারী। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিল্প ও গৃহস্থালি খাতে গ্যাসের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে সিস্টেম লস কমার পাশাপাশি গ্যাসের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত হবে এবং কমবে অপচয়। এর ফলে গ্রাহকরাও উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন তারা। প্রকল্পটি সরকারের ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, এসডিজি এবং প্রেক্ষিত পরিকল্পনার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads