গাজীপুরের শ্রীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে আবারো সুখবর হলো। ইমু পাখির একটি বাচ্চা ফুটিছে। অপরদিকে গয়াল পরিবারেও একটি পুরুষ গয়াল শাবকের জন্ম হয়েছে। এ নিয়ে পার্কে আলাদা আনন্দ বইছে। ডিসেম্বরের শেষের দিকে ইমু পাখির বাচ্চা ও মাঝামাঝি সময় গয়াল শাবকের জন্ম হয়। পার্ক কর্তৃপক্ষ বিষয়টি একটু দেরিকে গণমাধ্যমকে অবহিত করে।
সাফারি পার্কের ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার মো. আনিসুর রহমান বলেন, গত ২০ ডিসেম্বর ইমু পাখির একটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হয়। এ ছাড়া আরো বেশ কিছু ডিম নিয়ে বসে আছে মা পাখি। নিয়ম করে ডিমে তা দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগেও পার্কে ইমু পাখির বাচ্চা ফুটেছে। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আরো ইমু পাখির ছানা পাওয়া যেতে পারে এ মৌসুমেই। এর আগে পার্কে অনুকূল পরিবেশ পেয়ে ৪টি ছানার জন্ম হয়েছে।
পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের ডুলাহাজারা সাফারি পার্ক থেকে আনা হয়েছিল ইমু পাখিগুলো । উচ্চতার দিক থেকে ইমু পাখি পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পাখি। এরা উড়তে পারে না। এদের দীর্ঘ পা থাকায় এরা দ্রুত দৌঁড়াতে পারে। পূর্ণবয়স্ক ইমু ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারে। এদের ওজন হয় ৪৫-৫০ কেজি হয়ে থাকে। ডিমগুলো গাঢ় সবুজ রঙ্গের হয়। একেকটি ডিম প্রায় ৭০০ গ্রাম ওজন হতে পারে। ইমু পাখির আদি নিবাস অস্ট্রেলিয়ায়। ওখানেই এ পাখিগুলোর বেশি বাসবাস। এখন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এ পাখির চাষ করা হয়। এরা শস্যদানা ও পোকামাকড় খেয়ে বেঁচে থাকে।
অপর ওয়াইল্ড লাইফ সুপার ভাইজার সরোয়ার হোসেন খান বলেন, পার্কের আফ্রিকান সাফারিতে অন্যান্য প্রাণীদের সঙ্গে গয়ালের বসবাস। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় গয়ালের একটি পুরুষ শাবকের জন্ম হয়েছে। এরি মধ্য পরিবারের সঙ্গে গয়াল শাবকটি সময় কাটাচ্ছে দুন্তপনায়। সময় করেই দুধ পান করছে শাবকটি। সুস্থ সবল রয়েছে গয়াল শাবকটি। উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে এর আগরও বেশ কয়েকটা গয়াল শাবকের জন্ম হয় পার্কের আফ্রিকান সাফারি বেষ্টনিতে।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. তবিবুর রহমান বলেন, এ ডিসেম্বরেই গয়াল ও ইমুর পরিবারে নতুন সদস্যের আগমন ঘটেছে। এর আগেও গয়াল ও ইমু পাখির বাচ্চার জন্ম হয়। তিনি বলেন উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে পার্কে, বাঘ,সিংহ,গয়াল,সাম্বার হরিণ, চিত্রা হরিণ,মায়া হরিণ,গ্যাজেল,ভল্লুক,উটপাখি, কমনইল্যাণ্ড,
ওয়াইল্ডবিস্ট,জিরাফ,জেব্রাসহ বিভিন্ন প্রাণী বাচ্চার জন্ম দেয়। যা আগত দর্শনার্থীদের বিনোদনে দারুন রসদ যোগায় এ প্রাণীগুলো। আশা করি এ মৌসুমে আরো কিছু প্রাণীর বাচ্চার জন্ম হবে। তিনি আরো জানান এ সাফারি পার্কে একটি সাদা রঙের বাঘ রয়েছে যা পর্যটকদের ব্যতিক্রমি আনন্দ দেয়। শিশুরা দারুন রোমাঞ্চিত হয় এ সাদা বাঘের দর্শন পেলে।