• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

বাকিতেই তেল নিচ্ছে বিমান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ জানুয়ারি ২০২১

বিমান বাংলাদেশের কাছে ২১শ কোটি টাকা বকেয়া ছিল আগেই। নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে সে টাকা আদায় করতে পারছে না বিপিসি। নতুন করে ৩৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল বাকিতে নিয়েছে সংস্থাটি। এরইমাঝে সমস্যা সমাধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দেবে বিপিসি।  

বিপিসির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমকে বলেন, আগের পাওনা নিয়ে আলোচনা আগে থেকেই চলছে। যেহেতু সরকারি কোম্পানি, আমরা তাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাইছিলাম। এখন আবার নতুন করে বাকি পড়েছে। বিমানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সাধারণত হজ্বের মৌসুমে তারা তাদের সব পাওনা পরিশোধ করে দেয়। এবার যেহেতু হজ্ব হয়নি, তাই পরিশোধ করতে দেরি হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা জ্বালানি বিভাগের কাছে চিঠি দিচ্ছি। একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সমপ্রতি এক সভায় বিপিসি জ্বালানি বিভাগকে জানায়, ‘গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১ নভেম্বর বিমানের সঙ্গে আমাদের একটি চুক্তি হয়। তাতে উল্লেখ করা হয়েছিল, প্রতিমাসের ১০ তারিখের মধ্যে তারা অগ্রিম পরিশোধ করবে এবং কোনো বকেয়া থাকলে তা পরের মাসের ১০ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করবে।’ কিন্তু চলতি পাওনা না পাওয়ায় এ পর্যন্ত ৩৯ কোটি টাকা বকেয়া হয়ে গেছে। এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করছে। এছাড়া আগের ২১৮০ কোটি টাকা বকেয়ার বিষয়েও সমাধান চেয়েছে বিপিসি।

রাষ্ট্রীয় কোম্পানি পদ্মা অয়েল বিমানের জেট ফুয়েল সরবরাহ করে। তাদের কাছ থেকে প্রতিমাসে ৫০ কোটি টাকার বেশি জেট ফুয়েল কেনে বিমান। তবে বিভিন্ন সময়ে লোকসানের কথা বলে জেট ফুয়েলের দাম বকেয়া রেখেছে বিমান। বিপুল পরিমাণ বকেয়ার জোগান এসেছে দেশীয় ব্যাংক থেকে। ঋণের টাকায় কেনা এই তেলের দাম পরিশোধ না করাতে পদ্মাকে সুদও গুনতে হয়েছে।

বিপিসি জানায়, ২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বিমানের কাছে জেট ফুয়েলের বকেয়া বাবদ তারা ২১৮০ কোটি টাকা পাবে। এই বকেয়ার বিষয়ে গত অক্টোবরেও তিন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবরা বৈঠক করেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিমান সমপ্রতি করোনার কারণে লোকসান দেখালেও গতবছর লাভ করেছে বলে প্রচার করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads