• মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

চালকদের ডোপ টেস্ট কতদূর

কবে নাগাদ শুরু হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বিআরটিএ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০২১

পরিবহন চালকদের বিরুদ্ধে মাদক গ্রহণের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এর থেকে নিষ্কৃতি পেতে চালকদের ডোপ টেস্ট করার কথা জানিয়েছিল পরিবহন মালিক সমিতি। ২০১৯ সালের অক্টোবরে সমিতির পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা এলেও এখনো তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নির্দেশনা দিয়েছেন। কবে নাগাদ এটি শুরু হবে তা নিশ্চিত করতে পারেনি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

গণপরিবহন সংশ্লিষ্টরা মাদকাসক্ত অবস্থায় গাড়ি চালানো বন্ধে দীর্ঘদিন ধরে কথা বলে আসছেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ ওই বছরের ১ ডিসেম্বর থেকে চালকদের ডোপ টেস্ট করার ঘোষণা দেন। সেসময় বিআরটিএ ও পুলিশের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ছিল পরিবহন মালিকদের। ফলে সমিতির সে সিদ্ধান্ত আর আগায়নি। গত বছরের ২২ অক্টোবর জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস-২০২০ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে চালকদের ডোট টেস্ট করার নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, যারা গাড়ি চালাচ্ছে, তারা মাদক সেবন করে কিনা সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের নজরে রাখতে হবে। ডোপ টেস্টের মাধ্যমে তা পরীক্ষা করা দরকার। প্রত্যেকটা চালকের এ পরীক্ষাটা একান্তভাবে অপরিহার্য। সব চালককে এই পরীক্ষা করাতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী এমন নির্দেশনার পর গত ২৭ অক্টোবর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তখন কিছুটা নড়েচড়ে বসেছিল বিআরটিএ। একটি কমিটিও গঠন করা হয়। কমিটিকে পরবর্তী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়। কিন্তু এখনো কোনো রূপরেখা চূড়ান্ত করা হয়নি। ফলে বিষয়টি নিয়ে হতাশা বাড়ছে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, প্রথমে চালকদের ডোপ টেস্ট করার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু নানা কারণে সেটি হয়নি। এরপর প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশনা দিয়েছেন। বিআরটিএ কমিটিও গঠন করেছে। কমিটি এ পর্যন্ত মাত্র একটি বৈঠক করেছে। কোনো কিছুই এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি।

বিআরটিএ-এর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর কমিটি হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা একটি বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে মালিক-শ্রমিক সমিতিসহ সবাইকে নিয়ে কর্ম কৌশল ঠিক করতে বিআরটিএকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এর সঙ্গে ডাক্তারি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে সে কারণে কর্ম-পরিকল্পনা ঠিক করতে হয়তো একটু সময় লাগছে। আশাকরি দ্রুত কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads