• সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ৬ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

বেপরোয়া রাজউকের দুষ্টচক্র

  • এম এ বাবর
  • প্রকাশিত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই রাজউকের সেবা খাতে ঘুষ ও দুর্নীতি ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই গোপন লেনদেনের বিষয়টি মেনে নিয়েই কাজ করিয়ে নিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু বর্তমানে করোনা মহামারীর মধ্যে বেড়েছে দুর্ভোগ এবং ঘুষ লেনদেনের হার। সরেজমিন সংস্থাটির কার্যালয়গুলো ঘুরে দেখা গেছে, সেবাগ্রহীতাদের থেকে কর্মকর্তাদের কাছে দালালদের আনাগোনা বেশি। আর পুরো বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করছে জোনাল অথরাইজডকেন্দ্রিক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ফলে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) অভিযোগ দিয়েও কমছে না এ অনিয়ম।  

এদিকে ভোগান্তি কমেনি ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র এবং নকশা অনুমোদনসংক্রান্ত সংস্থাটির অনলাইন সেবা কার্যক্রমে। অভিযোগ রয়েছে, করোনা মহামারীর মধ্যেও সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অধিক হারে ঘুষ। এরপর দীর্ঘ মাস ধরে আটকে আছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) আট অঞ্চলে প্রায় ১৮ হাজার ফাইল।     

দুর্নীতি কমাতে ও দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে ২০১৯ সালের ৪ মে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় অনলাইনে নিবন্ধন ও আবেদন কার্যক্রম। এরপর থেকে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র ও ভবনের নকশা অনুমোদন প্রক্রিয়ার আবেদন আর হাতে হাতে নেওয়া হচ্ছে না। ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে যে কেউ ঘরে বসেই এ সংক্রান্ত সেবার আবেদন করতে পারছেন। কিন্তু বাস্তবে এ পদ্ধতিতে অভিনব কায়দায় হচ্ছে ঘুষ লেনদেন। আবেদনকারী অনলাইনে ঢুকেই দেখতে পাচ্ছেন কোনো কর্মকর্তার কাছে তার আবেদনটি আটকে আছে। এ ক্ষেত্রে দ্রুত কাজ করিয়ে নিতে সেবাগ্রহীতা নিজে বা দালাল মাধ্যমে ওই কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজ করিয়ে নেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফাইল আটকে থাকে অথরাইজড অফিসারের কাছে। মূলত দুর্নীতির মধ্য অবস্থানেই রয়েছেন অথরাইজড অফিসার। মাঠপর্যায় থেকে প্রথম ফাইলটি যায় এলাকার পরিদর্শকের কাছে। ওই পরিদর্শকের হাত হয়ে যায় প্রধান পরিদর্শক এবং সহকারী অথরাইজড অফিসারের হাতে। এরপরে ফাইল চূড়ান্ত হতে জমা হয় অথরাইজড অফিসারের হাতে। আর এখানেই হয় চূড়ান্ত জিম্মি দশা। এছাড়া অথরাইজড অফিসার হয়ে ফাইল যায় জোনাল পরিচালকের হাতে। বিশেষ কিছু ফাইল পরিচালক হয়ে মেম্বার ও চেয়ারম্যান পর্যন্ত গেলেও বেশিরভাগ ফাইলের কাজ পরিচালক পর্যন্ত সমাপ্ত হয়। অভিযোগ রয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে অথরাইজড অফিসার নিজ অফিসের স্টাফদের নিকট আত্মীয়ের ফাইলও ফ্রি করে দেন না। ফাইল প্রতি হিসাব করে ঘুষের টাকা নেন। সব থেকে বেশি দুর্নীতি হয় ভবনের নকশা অনুমোদন পেতে ও রাজউকের নিজস্ব প্রকল্পের প্লট হস্তান্তর প্রক্রিয়ায়।            

সেবার মান বাড়াতে ২০১৩ সালে সংস্থাটিকে ৪টি অঞ্চল থেকে ৮টি অঞ্চলে উন্নতি করা হয়। কিন্তু আট জোনে অথরাইজড অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র ৫ জন। এ জোনগুলো মাঠপর্যায়ে পরিচালনের জন্য আগে প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাই অথরাইজড অফিসারের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে ২০১৭ সালের সংস্থার তিনজন সহকারী অথরাইজড অফিসারকে পূর্ণ অথরাইজড অফিসার (চলতি দায়িত্ব) করে কাজ চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চলতি দায়িত্বে থাকা অথরাইজড অফিসার তিনজন হচ্ছেন মাকিদ এহসান, নূর আলম ও সাগুফতা শারমিন। অন্য ২ জন রয়েছেন প্রেষণে নিয়োগপ্রাপ্ত।

রাজউক সূত্র জানা গেছে, তিনজন অথরাইজড অফিসার দীর্ঘদিন যাবৎ দুটি করে জোনের (অঞ্চল) দায়িত্ব পালন করছেন। গাজীপুর ও টঙ্গীর কিছু অংশ এলাকা নিয়ে অঞ্চল-১ এর কার্যক্রম। উত্তরা, দক্ষিণ খান ও টঙ্গীর কিছু অংশ নিয়ে অঞ্চল-২ গঠিত। মিরপুর, মোহাম্মদপুর ও সাভার নিয়ে অঞ্চল-৩ গঠিত। গুলশান, বনানী, বারিধারা, তেজগাঁও, মহাখালী, বাড্ডা, আফতানগর, ভাটারা ও বসুন্ধরা নিয়ে অঞ্চল-৪ গঠিত। ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, নিউমার্কেট, লালবাগ ও পুরান ঢাকা নিয়ে অঞ্চল-৫ গঠিত। মতিঝিল, মালিবাগ, বনশ্রী, খিলগাঁও ও মালিটোলা নিয়ে অঞ্চল-৬ গঠিত। সদর ঘাট, কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী ও পুরান ঢাকার কিছু অংশ নিয়ে অঞ্চল-৭ গঠিত। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর নিয়ে অঞ্চল-৮ গঠিত।

অঞ্চল-১-এর দায়িত্ব পালন করছেন সাগুফতা শারমিন (চলতি দায়ত্বি)। অঞ্চল-২ ও ৬-এর দায়িত্ব পালন করছেন সরদার মাহবুব। তিনি গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে রাজউকে কর্মরত। অঞ্চল-৩ ও ৪-এর দায়িত্ব পালন করছেন মাকিদ এহসান (চলতি দায়িত্ব)। অঞ্চল-৫ ও ৮-এর দায়িত্ব পালন করছেন নুরুজ্জামান জাহিদ। তিনিও গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে প্রেষণে রাজউকে কর্মরত। অঞ্চল-৭-এর দায়িত্ব পালন করছেন নূর আলম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অথরাইজড অফিসারদের বিরুদ্ধে রয়েছে শত শত অভিযোগ। প্রতিটি জোনেই তারা (অনলাইনে আসা আবেদন) দুই-আড়াই হাজার ফাইল আটকে রেখেছেন। ঘুষ  দিয়ে কেউ কেউ ফাইল অনুমোদন করিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকে ঘুষ দিয়ে ফাইলের জন্য দিনের পর দিন টেবিলে টেবিলে ঘুরছেন। এ পাঁচ কর্মকর্তার মধ্যে সব থেকে ফাইল আটকে রেখেছেন মাকিদ এহসান ও নূর আলম। আর এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনেও অভিযোগ রয়েছে বেশ কয়েকটি করে। এছাড়া রাজউকের দুর্নীতি দমনে কাজ করছে দুদকের বিশেষ টিম। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে দুদক। কিন্তু এতেও কমেনি সংস্থাটির অনিয়ম-দুর্নীতি। বরং পূর্বের থেকে কয়েকগুণ বেড়েছে।  

এদিকে সম্প্রতি রাজউকের দুর্নীতি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি)। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যক্তি পর্যায়ে নকশা অনুমোদনে ৫০ হাজার থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা, রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার পর্যায়ে দুই লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা টাকা পর্যন্ত রাজউক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়। আবার ১০ তলার বেশি ইমারতের নকশা অনুমোদনে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার পর্যায়ে ফি-র অতিরিক্ত ১৫ লাখ থেকে ৪০ লাখ টাকা এবং বিশেষ প্রকল্পের ক্ষেত্রে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার পর্যায়ে ১৫ লাখ থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়।

প্রতিবেদনে টিআইবি আরো জানায়, ব্যক্তি পর্যায়ে রাস্তা প্রশস্ত দেখাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা, ছাড়পত্র অনুমোদনে ১৫ থেকে ৮০ হাজার টাকা ও রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার পর্যায়ে এক লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাজউক কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া নকশা অনুমোদনে সময়ক্ষেপণ, সেবায় প্রতারণা ও হয়রানি, পরিদর্শনে অনিয়ম ও দুর্নীতি, নকশা বাস্তবায়নে আইন ও বিধির লঙ্ঘন, প্লট বরাদ্দ, প্লট হস্তান্তর, ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তরসহ একাধিক সেবায় ঘুষ ছাড়া কাজ হয় না।

এতে বলা হয়, নথি রক্ষকের কাছ থেকে মালিক নিজে বা দালাল কর্তৃক প্লটের ফাইল দেখানোর ক্ষেত্রে কোনো ফি না থাকলেও পাঁচ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা, প্রকল্পের আবাসিক ফ্ল্যাটের চাবি হস্তান্তরে ফি না থাকলেও দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয় সেবাগ্রহীতাকে। লিজ দলিলে ৩১ হাজার থেকে ৬০ হাজার পর্যন্ত নির্ধারিত ফি থাকলেও ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়।

নামজারি প্লট প্রতি নির্ধারিত ফির চেয়ে ১০ থেকে ৫০ হাজার টাকা, হেবা ফ্ল্যাট প্রতি ৫০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা, বিক্রয় অনুমোদন ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা ঘুষ আদান-প্রদান করা হয়। বিল উত্তোলনে ফি না থাকলেও কার্যাদেশ মূল্যের দুই শতাংশ ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া নিয়োগে রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ ব্যাপক ঘুষ আদায় করা হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে টিআইবি।

গবেষণা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণমূলক কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজে অধিক গুরুত্বারোপ এবং আবাসন ও রিয়েল স্টেট ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফাকে প্রাধান্য দেয় রাজউক। অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রণয়ন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলেও তা বার বার উপেক্ষিত থাকে।

এদিকে সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিআইবির ওই জরিপ থেকে বর্তমানে ঘুষের হার অনেক বেশি নেওয়া হচ্ছে। রাজউকের একজন প্রধান ইমারত পরিদর্শক জানান, কিছুদিন আগে তার নিকট আত্মীয়ের একটি ভবনের নকশা অনুমোদন নিতে এক অথরাইজড অফিসারকে টাকা দিতে হয়েছে। তিনি ওই পরিদর্শককে বলেছেন, আপনার আত্মীয় আপনি ছাড়তে পারেন, কিন্তু আমাকে টাকা না দিলে ফাইল সই হবে না। অপর এক কর্মকর্তা জানান, পূর্বাচলের একটি প্লটে তার নিকট আত্মীয়ের কাজ করার পাওয়ার পাইতে তিন টেবিলে তাকেও টাকা দিতে হয়েছে। ক্ষোভ প্রকাশ করে রাজউকের কয়েকজন ইমরাত পরিদর্শক বলেন, আমরা টাকা ছাড়া কীভাবে কাজ করব। ওপরের কর্মকর্তারা ভবনের তালা গুনে গুনে ঘুষ  চায়। কোনো ক্ষেত্রে যদি কোনো ভবনে এক লাখ টাকা ঘুষ  দেওয়া হয়, অন্য ভবনে সে ক্ষেত্রে অথরাইজড অফিসার তালা হিসাবে টাকা চান। যেমন, এক তলা এক লাখ হলে ১০ তলা দশ লাখ টাকা দেবে না কেন। নিচের কর্মকর্তাদের এমন বিব্রতকর অবস্থায়ও পড়তে হয়। তারা আরো বলেন, করোনায় নিয়মিত অফিস না করায় অথরাইজড অফিসারের দপ্তরে হাজার হাজার ফাইল জমে আছে। আগে যে ফাইল ৫০ হাজার টাকা দিয়ে করানো যেত, এখন সে ফাইলে এক-দেড় লাখ টাকা দিতে হয়। তারপরও ঘুরতে হয় দিনের পর দিন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, জোন-৩ ও ৪-এ অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে আছে প্রায় পাঁচ হাজার ফাইল। জোন-৫ ও ৮-এ অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝঁলে আছে প্রায় সাড়ে চার হাজার ফাইল। অন্য জোনগুলোতেও একই অবস্থা। 

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, রাজউক থেকে বিনা ঘুষে সাধারণ মানুষ সেবা পেয়েছেন, এমন ঘটনা বিরল। রাজউক ও দুর্নীতি সমার্থক শব্দে পরিণত হয়েছে। রাজউক আর দুর্নীতি একাকার হয়ে গেছে। ঘুষ ছাড়া কোনো সাধারণ নাগরিকের রাজউকের সেবা পাওয়া বিরল ঘটনা। তবে রাজউকের সব কর্মকর্তা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। কিছু কর্মকর্তা, দালাল ও সেবাগ্রহীতার একাংশের মধ্যে ত্রিপক্ষীয় আঁতাতের মাধ্যমে চুক্তি করে সুনির্দিষ্ট হারে ঘুষ নেওয়া হয়।

তিনি বলেন, রাজউকে দুর্নীতি ও অপব্যবস্থা রয়েছে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে। পরিকল্পনা প্রণয়ন, উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার প্রতিষ্ঠানকে আবার নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে গোড়া থেকে স্বার্থের দ্বন্দ্ব ছিল। সেটিই অনিয়ন্ত্রণ, অব্যবস্থাপনা, নিয়ম-নীতির লঙ্ঘন ও রক্ষককে ভক্ষকের ভূমিকায় রূপান্তরিত করার জায়গাটি তৈরি করেছে। রাজউক একটি মুনাফা অর্জনকারী ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে, জনবান্ধব হতে পারেনি।

রাজউকের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও তদন্ত কার্যক্রমের টিম প্রধান দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম বলেন, সংস্থাটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার দুর্নীতি অনুসন্ধান ও তদন্ত চলছে। ইতঃপূর্বে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হবে। দুর্নীতি প্রতিরোধে প্রয়োজনে ফাঁদ পেতে অভিযুক্তদের ধরা হবে বলে তিনি জানান।

রাজউক চেয়ারম্যান সাঈদ নূর আলম বলেন, কিছু অনিয়মের অভিযোগ আছে। তারপর ভালো করার জন্য কাজ করছি। তবে আবেদন ঝুলে থাকা, নকশা পরিবর্তন, কর্তব্যে অবহেলা, সেবাপ্রত্যাশীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ বিষয়গুলো আমি শুনেছি। এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আর সেবার মান বাড়াতে আরো কয়েকজন অথরাইজড অফিসার নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে কাজ আরো বেগবান হবে।

সেবা পেতে গ্রাহককে কোনো কর্মকর্তাকে ঘুষ না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এমন অবস্থায় কেউ পড়লে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কোনো দালাল ধরবেন না। প্রয়োজনে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দিন। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনগণ একটু সচেতন হলে কর্মকর্তারাও অন্যায় করতে পারবে না। তাই সকল সেবাগ্রহীতাকে তিনি সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads