• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

মেঘনা গ্রুপের পেটে নদীর ২৪১ একর জমি

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে গিয়ে মেঘনা গ্রুপের ৭টি প্রতিষ্ঠান প্রবহমান মেঘনা নদীর ২৪১ দশমিক ২৭ একর জমি অবৈধ দখল করে নিয়েছে। এর মধ্যে ৮৪ দশমিক ৭৭ একর নদীর জমিতে মূল ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। আবার ৫ দশমিক ৫ একর জমিতে নির্মাণ করেছে নিজস্ব রাস্তা।

অবৈধভাবে দখল করা এসব জমি এক মাসের মধ্যে উদ্ধার করে নদীর প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, বিআইডব্লিটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। এ ছাড়া নদী রক্ষায় ব্যর্থ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণেরও সুপারিশ করেছে জাতীয় নদী কমিশন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য ও তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক মো. আলাউদ্দিন বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে দেওয়া হয়েছে। সেই আলোকে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে ডিসি নদীর জমি উদ্ধারে ব্যবস্থা নেবেন। তবে এখনো আমার হাতে তদন্ত প্রতিবেদন আসেনি।

মেঘনা নদীর এমন জমি, যা আরএস পর্চায় ব্যক্তিমালিকানায় মেঘনা গ্রুপ অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছে। ওইসব বন্দোবস্তবহির্ভূত জমি অবিলম্বে উচ্ছেদ ও উদ্ধারে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের ১২ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি দীর্ঘ দুই বছর সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন গত ১৪ জানুয়ারি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জমা দিয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মজিবুর রহমান হাওলাদার স্বাক্ষরিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা এলাকায় মেঘনা গ্রুপ প্রবহমান মেঘনা নদী দখলের বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করার জন্য ১২ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সব সদস্য তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে; কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে কমিটির তদন্ত কার্যক্রম কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। পরে তা আবারো কার্যক্রম শুরু করে তদন্ত কমিটি। তদন্ত কমিটিকে চার কার্যবিধি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। তদন্ত কমিটি গঠনের পরে গত ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের অফিসে তদন্ত কমিটির প্রথম প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন, হোসেনপুর ইউনিয়ন এবং পিরোজপুর ইউনিয়নের চররমজান, সোনাউল্লাহ, পূর্ব দামেদরদী, পশ্চিম দামেদরদী, দুধঘাটা টেঙ্গরচর, ছয়হিস্যা, নরসুলদী, আষাঢ়িয়ারচর এবং ঝাউচর এলাকায় মেঘনা গ্রুপ নদীর জমি ভরাট করে ৭টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেছে। নদীর তীর ঘেঁষে মেঘনা গ্রুপ শিল্প বা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছে, যা সোনারগাঁও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সভায় কমিটিকে অবহিত করেন। এ ছাড়া কমিটির তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা পদ্ধতি বিষয়ে সভায় একমত প্রকাশ করা হয়।

তদন্ত কার্যক্রমে বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ অক্টোবর তদন্ত কমিটি সোনারগাঁও উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। পরিদর্শনে জানা যায়, উপজেলার ঝাউচর এলাকায় গড়ে উঠেছে মেঘনা পাল্প ও পেপার মিলস। মেঘনা নদীর মূল ভূমিতে স্থাপিত মেঘনা গ্রুপের শিল্পকারখানাগুলো হলো-মেঘনা সুগার রিফাইনারি কারখানা, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি, ফ্রেশ সিমেন্ট। দুধঘাটায় বালু ভরাট করে মেঘনা নদীর রান্দিরখাল এলাকায় জমি অবৈধভাবে দখল করে এসব প্রতিষ্ঠান করা হয়েছে। গত বছরের ৯ ডিসেম্বর কমিশনের চেয়ারম্যান আবারো মেঘনা নদী এবং এর শাখা নদীগুলো পরিদর্শন করেন। পরে গত বছর ১২ ডিসেম্বর আবারো ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আ জ ম জাহেদুল ইসলাম প্রাথমিক তথ্যের আলোকে ডিজিটাইজড করে মেঘনা নদীর সীমানা সিএস এবং আরএস নকশার ভিত্তিতে নদীর সীমানা পরিবর্তনের তুলনামূলক চিত্র সভায় উপস্থাপন করেন। পরে মেঘনা গ্রুপের সাথে আলোচনা সভা করে তদন্ত কমিটি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে মেঘনার শাখা নদী মারাখালী নদীর অংশের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের পাড় থেকে নদীর ভেতরে প্রায় দুই কিলোমিটার পর্যন্ত দখল করার অভিযোগ উঠেছে। মেঘনা নদীর অন্তত ৩০০ বিঘা জমি দখল করেছে মেঘনা গ্রুপ। দখলকৃত স্থানে ইতোমধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন ফ্রেশ টি, ফ্রেশ সুগার মিলস, পেপার মিলস, কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান। ভূমিদস্যুতার এই প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে নেই মেঘনার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানগুলোও। গ্রুপের ভাগনিজামাই বলে পরিচিত আল মোস্তফার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও নদী দখল করে ব্যাগের কারখানা গড়ে তুলেছেন, যা বিগত ২০১০ সাল থেকে ধাপে ধাপে এবং একটু একটু করে এসব জমি দখল করে নেওয়া হয়। মেঘনা গ্রুপের এমন অবৈধ দখলে ভরাট হওয়ায় সাধারণ গতিপথ হারাতে বসেছে প্রবহমান মেঘনা। নদী ডাকাতির এক কর্মকাণ্ডে অস্তিত্ব সংকটের হুমকিতে আছে আশপাশের নদীসংলগ্ন বিভিন্ন নিচু এলাকা ও চরের জমিগুলো। আনন্দবাজার এলাকায় মেঘনা নদীর প্রায় ৫০০ ফুট জায়গা দখল করে ৫০ একর জমিতে মাটি ভরাট করেছে মেঘনা গ্রুপ। ফিরোজপর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা জৈনপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় ১০০ বিঘা জমি গ্রাস করেছে। আষাড়িয়ারচর ও ঝাউচর এলাকায় নদীর অধিকাংশ বালু ভরাট করেছে। নদীর প্রায় ৭০০ ফুট দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে মেঘনা গ্রুপ। হাড়িয়া এলাকায় মেঘনা নদীতে অবৈধ স্থাপনা ও জেটি নির্মাণ করে দখল করেছে। মেঘনা নদীর শাখা সরকারি রান্দীর খালে প্রায় ২ কিলোমিটার বালু দিয়ে ভরাটসহ নদীর প্রায় এক হাজার ৫০০ বিঘা জমি ভরাট করে চারদিকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ চলছে। এছাড়া ছয়হিস্যা ও দুধঘাটা এলাকায় বালু ভরাট করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান নির্মাণের কাজ চলছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। নদী দখল করে নিজের সাম্রাজ্য গড়ার এই মহাযজ্ঞে মেঘনা গ্রুপ সরকারি প্রশাসনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতা পাচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যালয়, বিআইডব্লিটিএ কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)-এর কার্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সঙ্গে মেঘনা গ্রুপের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার ফলে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এ তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেই প্রতিবেদনের এসব তথ্য বলা হয়েছে।

মূল ভবন নির্মাণ : নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এলাকায় মেঘনা গ্রুপের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেঘনা গ্রুপের দাবি অনুযায়ী, তাদের ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করেছে। ৭টি প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মেঘনা গ্রুপ জমি ক্রয় করেছে ১১০ দশমিক ৪৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৬৬ দশমিক ২৩ একর নদীতে বিলীন হয়েছে। তবে শুনানির সময় কাগজপত্রে মেঘনা গ্রুপ বলেছে ৯২ দশমিক ৮২ একর তথ্য পেয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি। ১৬টি প্রতিষ্ঠানের নামে জমি ক্রয় করেছে। এ প্রতিষ্ঠান রয়েছে ইটিপিতে। জেটিতে রয়েছে ৩টি প্রতিষ্ঠান। জেটির জন্য বিআইডব্লিটিএ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ৩টি প্রতিষ্ঠান নদীর জমিতে করা হয়েছে। নদীর সাথে লাগোয়া, তা সত্ত্বেও প্লাবনভূমিতে ফোরশোর ও পোর্টলিমিট বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিআইডব্লিটিএ নির্ধারিত হয়নি। বিআইডব্লিটিএ থেকে বলা হয়েছে, জেটি দুটি নদীর জমিতে স্থাপন করার কারণে লাইসেন্স নবায়ন করা হয়নি।

ভূমি অফিসের বক্তব্যে বলা হয়, সিএস রেকর্ড অনুযায়ী মেঘনা গ্রুপের সব জমি নদীর জমি। এখানে আরএস অনুযায়ী ১ দশমিক ৮৬ একর খাসজমি বিভিন্ন ব্যক্তিকে বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। সরকারের কাছ থেকে বন্দোবস্ত গ্রহণকৃত জমি অন্যের কাছে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সরকারের অকৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত নীতিমালা অনুযায়ী সরকারকে বিক্রি মূল্যের ২৫ ভাগ অর্থ ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হয়। তা ১ দশমিক ৮৬ একর জমি বিক্রির ক্ষেত্রে এ নীতি লঙ্ঘিত হয়েছে।

আইনগত পর্যালোচনা : সিএসভুক্ত নদীর জমি আইনসিদ্ধ কোনো পদ্ধতিতে অন্যরূপ কিছু না হলে তা নদীর জমিই হিসেবে বিবেচিত হবে। প্রচলিত আইন অনুযায়ী এবং উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে নদীর জমিতে কোনো অবকাঠামো তৈরি করে ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই। মেঘনা গ্রুপের অধিকাংশ ভবন নদীর মধ্যে এক বা একাধিক জেটি নির্মাণ করে ব্যবহার করা হচ্ছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে মেঘনা গ্রুপের ৭টি প্রতিষ্ঠানের নামে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। যা নদীর জমিতে কিংবা প্লাবনভূমিতে স্থাপিত শিল্পপ্রতিষ্ঠান পরিবেশের জন্য বিশাল হুমকি। তরল বর্জ্য নদীর পানিতে ফেলেও পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে।

সুপারিশত : মেঘনা গ্রুপের জমি উদ্ধারের লক্ষ্যে কমিটি ১২টি সুপারিশ করেছে। তাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে নদীর জমি উদ্ধারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে মেঘনা গ্রুপের নদী চুরি নিয়ে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। পরে প্রশাসনও অনেকটা নড়েচড়ে বসেছে। একই সাথে সর্বত্রই আলোচনা হয়েছে মেঘনা গ্রুপের নদী দখলের প্রসঙ্গ। বছরের পর বছর প্রভাব খাটিয়ে মেঘনা গ্রুপ যেভাবে নদী গিলে ফেলেছে তার চিত্র ফুটে উঠেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, কমিশনের সুপারিশ মোতাবেক এক্ষুনি ব্যবস্থা নিতে না পারলে দখলদারদের কবল থেকে নদী উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে। মেঘনার ক্ষেত্রে এটি আরো কঠিন হবে। কারণ এর আগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে মেঘনা নদী দখলদকারী মদীনা গ্রুপের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে মেঘনা গ্রুপের দখলকৃত নদীর জায়গা উদ্ধার করা হয়নি। সংশ্লিষ্টরা জানান, মেঘনা গ্রুপের দখলে থাকা নদীর জায়গা দখলমুক্ত করতে একাধিকবার অভিযান শুরু হলেও মাঝপথে তা আটকে গেছে। এরপর আর সেখানে অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে করে অন্য দখলদাররাও ছাড় পেয়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের প্রতিবেদনটি আমরা এখনো পাইনি। তবে গত ২৮ জানুয়ারি জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সাথে এ বিষয়ে সভা হয়েছে। মেঘনা গ্রুপের নদী দখল প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি। নির্দেশনা পাওয়া মাত্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বলেন, এরই মধ্যে জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশে মদীনা গ্রুপের দখলে থাকা নদী ও নদীর তীরবর্তী সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি বলেন, শুধু মেঘনা গ্রুপের দখলে থাকাই নয়, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানের দখলের তালিকা করে জেলা প্রশাসকের নির্দেশক্রমে নদীর জায়গা উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads