• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

বিমানের কাছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা পাবে বেবিচক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে ৩ হাজার ৫৪৫ কোটির বেশি টাকা পাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। আগামী এক বছরের মধ্যে পাওনা পরিশোধে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে তাগিদ দিয়ে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বেবিচক।

বেবিচক কর্মকর্তারা বলছেন, বকেয়া আদায় করতে না পারায় অডিট আপত্তির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এ ছাড়া জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাছেও জবাবদিহিতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। বিভিন্ন এয়ারলাইনসের অ্যারনটিক্যাল ও নন-অ্যারনটিক্যাল চার্জই কেবল সংস্থাটির আয়ের ভরসা। নতুন করে যাত্রী নিরাপত্তা ফি ও বিমানবন্দর উন্নয়ন ফি যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করলেও তা মোট ব্যয়ের তুলনায় নগণ্য। বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান বলেন, বিমানসহ বিভিন্ন এয়ারলাইনসের কাছে বকেয়া রয়েছে। তবে বিমানের কাছেই পাওনা সবচেয়ে বেশি। পাওনা পরিশোধে ইতোমধ্যে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। 

জানা যায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের কাছে বেবিচকের পাওনা ৩ হাজার ৫৪৫ কোটি ৮৭ লাখ ১ হাজার টাকা। গত নভেম্বর পর্যন্ত বিমানের বিল অ্যামাউন্ট বাবদ বকেয়া ৮৮৭ কোটি ৪৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। ভ্যাট ও আয়কর ২৬৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া সারচার্জ বাবদ বকেয়া পড়েছে ২ হাজার ৩৯৫ কোটি ১০ লাখ ৭৯ হাজার টাকা।

এর মধ্যে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের মোট বকেয়ার পরিমাণ ২ হাজার ৬৩২ কোটি ৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দর বাবদ বকেয়া ৫২৩ কোটি ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা। সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বাবদ বকেয়া ৩৮৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। 

এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দরের মধ্যে যশোর বিমানবন্দরের পাওনা ১৯ লাখ ৮৭ হাজার, বরিশাল বিমানবন্দরের পাওনা ৫ লাখ ৬৮ হাজার, কক্সবাজার বিমানবন্দরের পাওনা ১ কোটি ৪৬ লাখ ৪১ হাজার, সৈয়দপুর বিমানবন্দরের পাওনা ১৫ লাখ ৩৪ হাজার ও রাজশাহীর শাহ মখদুম বিমানবন্দরের  পাওনা ১৫ লাখ ৮৫ হাজার টাকা। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads