• বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১ জৈষ্ঠ ১৪২৯

জাতীয়

কক্সবাজারে হবে দৃষ্টিনন্দন বাঁধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের মূল পয়েন্ট কলাতলী থেকে নাজিরারটেক। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এ ১২ কিলোমিটার এলাকা শুরু হয়েছে তীব্র ভাঙন। এতে ঝাউগাছ ভাঙার পাশাপাশি বালিয়াড়িও বিলীন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন আরো তীব্র হয়। এ অবস্থা থেকে উত্তরণে কলাতলী থেকে নাজিরারটেক পর্যন্ত দৃষ্টিনন্দন প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এ বাঁধে থাকবে ওয়াকওয়ে, সাইকেল বে, গাড়ি পাকিং, প্রদর্শনী মঞ্চ।  আর বাঁধের ভেতরে থাকবে কিডস জোন, তথ্যকেন্দ্র, লকার রুম, লাইফ গার্ড পোস্ট, ওয়াশরুম। পুরো প্রকল্পটি সাজানো হয়েছে দৃষ্টিনন্দনভাবে। বালিয়াড়িতে থাকবে না কোনো প্রকার স্থাপনা। সকল প্রকার স্থাপনা চলে যাবে বাঁধের অভ্যন্তরে। এ বাঁধটি নির্মাণে ব্যয় হবে ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, ১২ কিলোমিটার মাল্টিফাংশনাল বাঁধ কাম রোডটি থাকবে ৫ কিলোমিটার সাইকেল বে, ৪.৮ কিলোমিটার ওয়া র্কিং বে, ৮টি ফুটওভার ব্রিজ, ৭০০ সিটিং ফ্যাসিলিটি, ১টি ল্যান্ডস্কেপ, ১টি প্রদর্শনী স্থান, ১০টি তথ্যকেন্দ্র, ১টি শিশুপার্ক, ১টি বাস পার্কিং স্থান, ১টি আলোকসজ্জা, ১টি ইটিপিসমৃদ্ধ পানি ব্যবস্থাপনা, ১টি অ্যাকুরিয়াম, বাইরের রেস্তোরাঁ ১টি, ১৮টি লাইভ গার্ড স্টেশন, ১০টি ভাস্কর্য।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, কলাতলী থেকে নাজিরারটেক। যেখানে মূলত বেশি পর্যটক ভিড় করেন। কিন্তু এ ১২ কিলোমিটার এলাকা শুরু তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিনিয়ত ঢেউয়ের আঘাতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঝাউগাছসহ বালিয়াড়ি। প্রশাসনের পক্ষে জিও ব্যাগ দিয়ে তা রক্ষার চেষ্টা করা হলেও কার্যত রক্ষা হচ্ছে না তা।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, ‘একসময় সমুদ্রের পানি অনেক দূরে ছিল। কিন্তু বর্তমান তা নিকটে চলে এসেছে। এতে ঝাউগাছ ভাঙার পাশাপাশি বালিয়াড়িও বিলীন হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে এ ভাঙন তীব্র হয়ে যায়।’

পরিবেশবাদী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে এ ভাঙন। এটা রোধে পরিবেশ ও পর্যটন বান্ধব পরিকল্পনা নিতে হবে দ্রুত সময়ের মধ্যে।’

পানি উন্নয়ন বোর্ড কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী জানান, ভাঙন রোধে পর্যটন এবং পরিবেশবান্ধব প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ২০ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে আধুনিক এ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। যেখানে ১২ কিলোমিটার এলাকায় মাল্টি ফাংশানাল বাঁধ কাম রোড থাকবে। চলিত মাসে প্রকল্পের কাজ শুরু করে ২০২৪ সালে জুন মাসে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads