• শুক্রবার, ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪২৯
কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

কেন্দ্রে বাড়ছে ভিড়

টিকা নিয়েছেন ৫ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১

রাজধানীসহ সারা দেশে পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন করোনার টিকা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে পুরুষ তিন লাখ ৮৬ হাজার ৫৭৮ জন ও নারী এক লাখ ৫৫ হাজার ৭৩১ জন। বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ বা অ্যাডভার্স ইভেন্ট ফলোইং ইমিউনাইজেশন (এইএফআই) রিপোর্ট করেছেন ৩৬৩ জন।

গত ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। পরদিন ২৮ জানুয়ারি রাজধানীর পাঁচটি সরকারি হাসপাতাল-ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউতে পরীক্ষামূলকভাবে ৫৪১ জনকে টিকা দেওয়া হয়।

পরবর্তীতে ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বমোট পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৩০৯ জন টিকাগ্রহীতার মধ্যে বিভাগীয় পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ঢাকা  বিভাগে এক লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৫ হাজার ৮২৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে এক লাখ ৩০ হাজার ৭৯৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৬৩ হাজার ৬৬৪ জন, রংপুর বিভাগে ৫২ হাজার ২৫৬ জন, খুলনা বিভাগে ৫৯ হাজার ৩৬৯ জন, বরিশাল বিভাগে ২২ হাজার ৬৮১ জন ও সিলেট বিভাগে এক হাজার ৪৭ হাজার ৭২৮ জন টিকা নেন।

বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ নিয়ে রিপোর্টকারীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৬১ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১০৬ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪০ জন, রংপুর বিভাগে ৫১ জন, খুলনা বিভাগে ৫৩ জন, বরিশাল বিভাগে ১১ জন ও সিলেট বিভাগে ১৭ জন রয়েছেন।

দেশব্যাপী চলমান করোনা টিকাদান কার্যক্রমের পঞ্চমদিনে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীসহ সারা দেশের ৪৬টি সরকারি হাসপাতাল ও অন্যান্য স্বাস্থ্যস্থাপনা কেন্দ্রে সর্বমোট দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জন টিকা নেন। তাদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪০ হাজার ১৫২ জন ও ৬৪ হাজার ৩৮৮ জন নারী। পঞ্চম দিনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার উপসর্গ রিপোর্ট করেছেন করেছেন ৮৬ জন।

টিকাগ্রহীতার বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে, টিকাগ্রহণকারী দুই লাখ চার হাজার ৫৪০ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫১ হাজার ১৫৯ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে নয় হাজার ৩৩৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৫২ হাজার ৮৬৯ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৩ হাজার ১৮০ জন, রংপুর বিভাগে ১৯ হাজার ৩৮০ জন, খুলনা বিভাগে ২৩ হাজার ৪৭৯ জন, বরিশাল বিভাগে নয় হাজার ৩৯৭ জন ও সিলেট বিভাগে এক হাজার ১৫ হাজার ৭৩৯ জন টিকা নেন।

এদিকে করোনার ভ্যাকসিন নেওয়ার বয়সসীমা ৫৫ থেকে ৪০-এ নামিয়ে আনায় বাড়ছে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা। সমাজের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা টিকা নেওয়ায় মানুষ উৎসাহিত হয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

শুরুর দিকের নানা দ্বিধা-সংশয় কাটিয়ে টিকাকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভিড়। গণহারে টিকা প্রয়োগের প্রথম দিন ৭ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে সাকুল্যে টিকা প্রয়োগ করা হয় ৩১ হাজার ১৬০ জনের দেহে। এরপর প্রতিদিনই তা বাড়তে থাকে আশাব্যঞ্জক হারে। টিকা প্রয়োগের প্রথম সপ্তাহের সবশেষ কার্যদিবসে একদিনে টিকাগ্রহীতার সংখ্যা ছাড়ায় ২ লাখ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) বেনজীর আহমেদ, সব শ্রেণির নাগরিকের জন্য টিকা উন্মুক্ত থাকার বয়সসীমা ৫৫ থেকে নামিয়ে ৪০ করার সরকারি সিদ্ধান্ত এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের টিকা গ্রহণও উৎসাহিত করেছে সাধারণ মানুষকে। তবে কর্তৃপক্ষ চায়, দৈনিক টিকার হার ৩ লাখ ছাড়িয়ে নিতে।

প্রতি মাসে ভারত থেকে ৫০ লাখ টিকা আমদানির বাইরেও বাংলাদেশের সামনে সুযোগ তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে টিকা পাওয়ার।  সব শ্রেণির মানুষকে টিকার আওতায় আনতে টিকাকেন্দ্র আরো সম্প্রসারিত ও নিবন্ধন প্রক্রিয়াকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

বেনজীর আহমেদ বলেন, টিকাকেন্দ্রকে যদি আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। যেখানে মানুষে সহজে আসতে পারবে। আর নিবন্ধনটা আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে করতে হবে। দেশে টিকা গ্রহণের পর এখনো পর্যন্ত কারো গুরুতর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads