• রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

বাংলাদেশ থেকে প্রমোদতরী চালুর প্রস্তাব মালদ্বীপের

  • কূটনৈতিক প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১

বাংলাদেশ থেকে মালদ্বীপে প্রমোদতরী চালুর প্রস্তাব দিয়েছে দেশটি। তাদের এই প্রস্তাব বিবেচনা করছে বাংলাদেশ।

গতকাল বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামির। এ সময় মালদ্বীপের দেওয়া প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, শীতে সমুদ্র শান্ত থাকে। শীত মৌসুমে আমরা বাংলাদেশ-মালদ্বীপ সি-ক্রুজ চালু করতে পারি।

সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব হাসান জাহিদ তুষার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, শিক্ষা, করোনা সংকটসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া গভীর সমুদ্রে মৎস্যসম্পদ আহরণে মালদ্বীপের সঙ্গে অভিজ্ঞতা ও সহযোগিতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কৃষি উৎপাদনে বাংলাদেশে সফলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কৃষি পণ্য আছে, কৃষি উৎপাদন দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ সফরের সময় এ বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে।

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে মালদ্বীপের আগ্রহের কথা জানিয়ে মালদ্বীপের হাইকমিশনার বলেন, আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য বৃদ্ধি করতে চাই। বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ফিশারিজ ছাড়াও আমাদের কৃষি ও কৃষিজাতপণ্য, চামড়া ও চামড়াজাতপণ্য আছে। এগুলোর বিষয়েও মালদ্বীপের উদ্যোক্তারা বিবেচনা করতে পারে। সিরামিক, ওষুধ, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরেও মালদ্বীপ বিনিয়োগ করতে পারে। মালদ্বীপের রাজধানী মালে আইল্যান্ডের পাশে নতুন শহর গড়ে তোলা হচ্ছে জানিয়ে সেখানে বিনিয়োগ করতে বাংলাদেশকে আহ্বান জানান হাইকমিশনার।

মালদ্বীপের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করতে আরো বেশি বাংলাদেশে আসার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আমরা অনেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ, মেডিকেল কলেজ, এভিয়েশন বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যারিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়, এগুলো প্রতিষ্ঠা করেছি। সেখানে মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করতে পারে। এ সময় হাইকমিশনার তাদের পর্যটন শিক্ষা গ্রহণে বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, মালদ্বীপ পর্যটনে ভালো। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা সেখানে পর্যটন বিষয়ে পড়াশোনা করতে যেতে পারে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মালদ্বীপের শিক্ষার্থীরা মেডিকেলে পড়াশোনা করছে। তাদের করোনা টিকা দিতে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন শিরুজিমাথ সামির। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা প্রথমে শিক্ষকদের টিকা দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে তাদেরও টিকা দেওয়া হবে। মালদ্বীপে বসবাসরত বাংলাদেশি শ্রমিকদের করোনা টিকা দেওয়ার অনুরোধ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা খুব অমানবিক পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে বসবাস করছিল। সেখানে বন এবং পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছিল। তাদের জন্য আমরা আরো ভালো ও আধুনিক ব্যবস্থা করেছি। করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা ও বিভিন্ন উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার। সাক্ষাতের সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads