• বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪২৯

জাতীয়

ঋণ পরিশোধে শিল্পমালিকরা আরো ছয় মাস পেলেন

পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণগ্রহীতারা গ্রেস পিরিয়ড প্রাপ্য হবেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পরিশোধে আরো ছয় মাস সময় পেলেন শিল্পমালিকরা। বাংলাদেশ ব্যাংক এসংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনার অনুলিপি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীকে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন,  করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণগ্রহীতারা আরো ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রাপ্য হবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গ্রেস পিরিয়ড ছিল এক বছর। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শিল্পমালিকরা ঋণ পরিশোধে গ্রেস পিরিয়ড পাবেন দেড় বছর। গত বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের ঋণের কিস্তি পরিশোধের সময় আরো ছয় মাস বাড়ানো হয়েছে। শ্রমিক ও কর্মচারীদের তিন মাসের বেতন বাবদ সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে মালিকেরা ওই ঋণ সুবিধা পেয়েছিলেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, মার্চ হতে ঋণগ্রহীতারা আরো ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ড প্রাপ্য হবেন। সময় বাড়ানোর কারণে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে প্রথম কিস্তির সময় শুরু হবে। যদিও আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানুয়ারি পর্যন্ত ছিল গ্রেস পিরিয়ড। তবে প্রতি মাসে এক কিস্তি হিসেবে ১৮ কিস্তিতে ঋণ পরিশোধের সিদ্ধান্ত বহাল আছে।

জানা গেছে, করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে সরকার থেকে সবার আগে রপ্তানিমুখী শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দেওয়ার জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। এ প্যাকেজের আওতায় নেওয়া ঋণের জন্য মাত্র ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছিল সরকার। ১ হাজার ৯৯২ পোশাক শিল্পের ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীকে এ তহবিল থেকে ৪ হাজার ৯৩৫ কোটি ১৯ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়। ঋণ দেওয়ার সময় শর্ত ছিল ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ দুই বছরের মধ্যে ১৮টি সমান কিস্তিতে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। গ্রেস পিরিয়ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তোলে বিজিএমইএ। সংগঠনটির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ঋণ পরিশোধের গ্রেস পিরিয়ড আরো ছয় মাস বাড়ানোয় সম্মতি দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংককে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads