• রবিবার, ৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪২৯
জুন পর্যন্ত প্রণোদনার ঋণ পাবেন কৃষক

সংগৃহীত ছবি

জাতীয়

জুন পর্যন্ত প্রণোদনার ঋণ পাবেন কৃষক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ এপ্রিল ২০২১

‘কৃষি খাতে প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ নামের বিশেষ তহবিল থেকে ঋণ দেওয়ার মেয়াদ আরো তিন মাস বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত এই ঋণ বিতরণ করতে পারবে ব্যাংকগুলো। ১৮ মাস (ছয় মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ) মেয়াদি এ ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার চার শতাংশ। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কৃষি খাতের বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ২০২১-এর ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হলো। আগে বিশেষ এ তহবিলের ঋণ বিতরণের সময়সীমা ছিল চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এ ছাড়া ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দ করা ঋণের ৩০ শতাংশের বেশি একক কোনো খাতে বিতরণ করতে পারবে না এমন নির্দেশনা ছিল। এটির সীমা ১০ শতাংশ বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।’

গত বছরের ১২ এপ্রিল এ বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই কৃষি খাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশে পাঁচ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন স্কিম গঠন ও পরিচালনার নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলো পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস + গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস) মধ্যে আসল এবং সুদ (বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদহারে) পরিশোধ করবে। ব্যাংকগুলো গ্রাহক পর্যায়েও ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ঋণ গ্রহণের তারিখ থেকে ১৮ মাস (৬ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ)। এ স্কিমের আওতায় ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নির্ধারিত এক শতাংশ সুদহারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ চার শতাংশ। এই সুদহার চলমান গ্রাহক এবং নতুন গ্রাহক উভয় ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে।

শস্য ও ফসল খাত ব্যতীত কৃষির অন্যান্য চলতি মূলধন নির্ভরশীল খাতসমূহ (হর্টিকালচার অর্থাৎ মৌসুমভিত্তিক ফুল ও ফল চাষ, মৎস্য চাষ, পোলট্রি, ডেইরি এবং প্রানিসম্পদ খাত)। তবে কোনো একক খাতে ব্যাংকের অনুকূলে বরাদ্দ করা ঋণের ৩০ শতাংশের বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না। নতুন নির্দেশনায় এটির সীমা বাড়িয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও যেসব উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান কৃষকের কাছ থেকে উৎপাদিত কৃষিপণ্য ক্রয় করে সরাসরি বিক্রয় করে থাকে তাদেরকেও এ স্কিমের আওতায় ঋণ বিতরণের জন্য বিবেচনা করা যাবে। তবে এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কোনো উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে এককভাবে পাঁচ কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করতে পারবে না।

এই স্কিমের আওতায় বিতরণ করা ঋণের অর্থের কোনো অংশের সদ্ব্যবহার হয়নি জানতে পারলে বাংলাদেশ ব্যাংক সমপরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত দুই শতাংশ সুদসহ এককালীন জরিমানা করবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads